আকর্ষণীয় চরিত্রের জন্য, বড় ব্যানারে ছবি করার জন্য যেমন মুখিয়ে থাকেন বলিউড তারকারা—তার চেয়ে কোনো অংশে কম লালায়িত থাকেন না কোম্পানি অ্যান্ডোর্সমেন্টের জন্য। সোজা বাংলায় বললে বিজ্ঞাপনে মডেলিংটাকেই এখন অর্থ উপার্জনের প্রধান রাস্তা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলিউড তারকারা। কারণটাও সহজ। একেকটা কোম্পানির সঙ্গে একেকটা চুক্তিতে পারিশ্রমিক থাকছে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছরে গড়ে ১০ থেকে ১৫টা পণ্যের ব্র্যান্ডিং করতে পারছেন বলিউড তারকারা। সারা বছর ছবি করে, টিভিতে চেহারা দেখিয়েও এ পরিমাণ টাকা কামানো সম্ভব নয়। ভারতের সেলিব্রেটি অ্যান্ডোর্সমেন্ট মার্কেট এখন বছরে প্রায় ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের। মার্কেট যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামীতে তারকারা আরও বেশি পয়সার মুখ দেখবেন। আগে যেখানে ক্রিকেটাররা ছিলেন কোম্পনিগুলোর প্রথম পছন্দ, এখন তারা চলে গেছেন দ্বিতীয় সারিতে। বলিউড একধাপ এগিয়ে এসেছে।
অমিতাভ বচ্চন কিংবা শাহরুখ খানের কথাই ধরা যাক। সিমেন্ট, গাড়ি, রং ফর্সাকারী ক্রিম—কোনো কিছুই তাদের অ্যান্ডোর্সমেন্টের তালিকা থেকে বাদ নেই। ভারতীয় এক সাময়িকীর হিসাবে গত পাঁচ বছরে এই দুই তারকার প্রত্যেকে ব্র্যান্ড অ্যান্ডোর্সমেন্ট করে কামিয়েছেন প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এ পরিমাণ অর্থ পকেটে ভরতে গিয়ে নিজেদের ইমেজের দিকে তাকানোর অবসর পান না তারকারা।
কাওয়ান অ্যান্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং সলিউশনের অনির্বাণ ব্লা মনে করেন, তারকারা তাড়াতাড়ি পয়সা রোজগারের জন্যই ব্র্যান্ডিংয়ের দিকে এমন অসহায়ভাবে ঝুঁকে পড়ছেন। ব্র্যান্ডিং নিয়ে তারকাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সিনেমার চেয়েও বেশি। পাশের বাড়ির মেয়ে ইমেজের রানী মুখার্জি, বিদ্যা বালান মশা মারতে ওঠেপড়ে লেগেছেন। তরুণ প্রজন্মের জেনেলিয়া ডি সুজা দেখাচ্ছেন অমুক কোমলপানীয়ের জাদু। অসিন বোঝাচ্ছেন তমুক কোমলপানীয়ের মাজেজা। দীপিকা পাড়ুকোন আবার গরম কফিতে মন্ত্রমুগ্ধ করতে চাইছেন দর্শকদের। সিনিয়র হেমা মালিনীও বসে নেই। বিশুদ্ধ পানীয় তিনি তুলে দিতে চাইছেন গ্রাহকদের হাতে। যে যা পাচ্ছেন তাই নিয়ে লেগে যাচ্ছেন। যেখানে কিছুদিন আগেও প্রীতি জিনতার বিজ্ঞাপন বাজারে দর ছিল চড়া, সেখানে এখন তিনি নিম্নে ধাবিত। ফিল্ম মার্কেট পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিগুলোও আর আগের মূল্য দিতে রাজি নয়। তাই ঐশ্বরিয়ার জুয়েলারি এখন ক্যাটরিনা কাইফের শোভা বাড়াচ্ছে। কারিনা কাপুরের শ্যাম্পু হয়তো মাথায় মাখছেন আনুশকা শর্মা। ইদানীং কোম্পানিগুলোও নতুন করে ভাবছে। সিনিয়রদের মোটা অংক দেয়ার চেয়ে উঠতি নায়ক-নায়িকাদের দিকেই তাদের নজর। কম টাকায় কাজ বাগিয়ে নেয়া যাচ্ছে। রনবীর-ইমরানরা অল্পতেই তুষ্ট। এতে শাহরুখ-সালমানরা একটু বিপাকে আছেন। আগের মতো আর মনের মতো দর হাঁকাতে পারছেন না।
অনির্বাণ ব্লা জানান, তিনি তার গ্রাহকদের এখন বলছেন সেই তারকাদের নিতে যারা নির্দিষ্ট পণ্যটির সঙ্গে মানানসই। এক্ষেত্রে নতুন হলেও সমস্যা নেই। সুপারস্টারদেরই নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ভারতের বিজ্ঞাপন গুরু প্রহ্লাদ কক্কর বলেন, ‘এটা কোম্পানির সমস্যা যে তারা সঠিক তারকা বাছাই করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কেবল নাম দেখে সেলিব্রেটি নিলে শেষ পর্যন্ত পণ্যেরই ক্ষতি। আবার উল্টো কথাটি তারকাদের বেলায়ও খাটে। তাকেও সঠিক পণ্যটি বাছাই করতে হবে। তাহলেই দু’পক্ষ সমানভাবে লাভবান হবে।’ আর বলিউড তারকারা যেভাবে সকাল-বিকাল ব্র্যান্ড পরিবর্তন করেন তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। ব্র্যান্ড কনসালট্যান্সি ফার্ম ক্লেরোফিলের কিরণ খেলাপ এমনটাই মনে করেন। তিনি মনে করেন, ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে তারকাদের নিজস্ব কোনো বিশ্বাসের জায়গা নেই।
এক্ষেত্রে আমির খানকে অনেকেই ওস্তাদ মানেন। ‘থ্রি উডিয়টস’ হিট হওয়ার পর একটি কোম্পানি আমিরকে চুক্তিবদ্ধ করে ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন রুপিতে। বলিউড তারকাদের জন্য এটা একটা রেকর্ড বটে। বড় কথা হচ্ছে, আমির কখনোই যেনতেন পণ্যের ব্র্যান্ডিং করেননি। জন-বিপাশা, অ্যাশ-অভি, সাইফ-কারিনা এমন জুটি তৈরি করে বিজ্ঞাপনের বাজার ধরতে হয়নি তাকে, যা এখন বেশ চালু ট্রেন্ড। যদিও অন্য তারকারাও বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন রুপি কামিয়েই নিচ্ছেন ব্র্যান্ডিং করে।
অমিতাভ বচ্চন কিংবা শাহরুখ খানের কথাই ধরা যাক। সিমেন্ট, গাড়ি, রং ফর্সাকারী ক্রিম—কোনো কিছুই তাদের অ্যান্ডোর্সমেন্টের তালিকা থেকে বাদ নেই। ভারতীয় এক সাময়িকীর হিসাবে গত পাঁচ বছরে এই দুই তারকার প্রত্যেকে ব্র্যান্ড অ্যান্ডোর্সমেন্ট করে কামিয়েছেন প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এ পরিমাণ অর্থ পকেটে ভরতে গিয়ে নিজেদের ইমেজের দিকে তাকানোর অবসর পান না তারকারা।
কাওয়ান অ্যান্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং সলিউশনের অনির্বাণ ব্লা মনে করেন, তারকারা তাড়াতাড়ি পয়সা রোজগারের জন্যই ব্র্যান্ডিংয়ের দিকে এমন অসহায়ভাবে ঝুঁকে পড়ছেন। ব্র্যান্ডিং নিয়ে তারকাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সিনেমার চেয়েও বেশি। পাশের বাড়ির মেয়ে ইমেজের রানী মুখার্জি, বিদ্যা বালান মশা মারতে ওঠেপড়ে লেগেছেন। তরুণ প্রজন্মের জেনেলিয়া ডি সুজা দেখাচ্ছেন অমুক কোমলপানীয়ের জাদু। অসিন বোঝাচ্ছেন তমুক কোমলপানীয়ের মাজেজা। দীপিকা পাড়ুকোন আবার গরম কফিতে মন্ত্রমুগ্ধ করতে চাইছেন দর্শকদের। সিনিয়র হেমা মালিনীও বসে নেই। বিশুদ্ধ পানীয় তিনি তুলে দিতে চাইছেন গ্রাহকদের হাতে। যে যা পাচ্ছেন তাই নিয়ে লেগে যাচ্ছেন। যেখানে কিছুদিন আগেও প্রীতি জিনতার বিজ্ঞাপন বাজারে দর ছিল চড়া, সেখানে এখন তিনি নিম্নে ধাবিত। ফিল্ম মার্কেট পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিগুলোও আর আগের মূল্য দিতে রাজি নয়। তাই ঐশ্বরিয়ার জুয়েলারি এখন ক্যাটরিনা কাইফের শোভা বাড়াচ্ছে। কারিনা কাপুরের শ্যাম্পু হয়তো মাথায় মাখছেন আনুশকা শর্মা। ইদানীং কোম্পানিগুলোও নতুন করে ভাবছে। সিনিয়রদের মোটা অংক দেয়ার চেয়ে উঠতি নায়ক-নায়িকাদের দিকেই তাদের নজর। কম টাকায় কাজ বাগিয়ে নেয়া যাচ্ছে। রনবীর-ইমরানরা অল্পতেই তুষ্ট। এতে শাহরুখ-সালমানরা একটু বিপাকে আছেন। আগের মতো আর মনের মতো দর হাঁকাতে পারছেন না।
অনির্বাণ ব্লা জানান, তিনি তার গ্রাহকদের এখন বলছেন সেই তারকাদের নিতে যারা নির্দিষ্ট পণ্যটির সঙ্গে মানানসই। এক্ষেত্রে নতুন হলেও সমস্যা নেই। সুপারস্টারদেরই নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ভারতের বিজ্ঞাপন গুরু প্রহ্লাদ কক্কর বলেন, ‘এটা কোম্পানির সমস্যা যে তারা সঠিক তারকা বাছাই করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কেবল নাম দেখে সেলিব্রেটি নিলে শেষ পর্যন্ত পণ্যেরই ক্ষতি। আবার উল্টো কথাটি তারকাদের বেলায়ও খাটে। তাকেও সঠিক পণ্যটি বাছাই করতে হবে। তাহলেই দু’পক্ষ সমানভাবে লাভবান হবে।’ আর বলিউড তারকারা যেভাবে সকাল-বিকাল ব্র্যান্ড পরিবর্তন করেন তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। ব্র্যান্ড কনসালট্যান্সি ফার্ম ক্লেরোফিলের কিরণ খেলাপ এমনটাই মনে করেন। তিনি মনে করেন, ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে তারকাদের নিজস্ব কোনো বিশ্বাসের জায়গা নেই।
এক্ষেত্রে আমির খানকে অনেকেই ওস্তাদ মানেন। ‘থ্রি উডিয়টস’ হিট হওয়ার পর একটি কোম্পানি আমিরকে চুক্তিবদ্ধ করে ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন রুপিতে। বলিউড তারকাদের জন্য এটা একটা রেকর্ড বটে। বড় কথা হচ্ছে, আমির কখনোই যেনতেন পণ্যের ব্র্যান্ডিং করেননি। জন-বিপাশা, অ্যাশ-অভি, সাইফ-কারিনা এমন জুটি তৈরি করে বিজ্ঞাপনের বাজার ধরতে হয়নি তাকে, যা এখন বেশ চালু ট্রেন্ড। যদিও অন্য তারকারাও বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন রুপি কামিয়েই নিচ্ছেন ব্র্যান্ডিং করে।
No comments:
Post a Comment