
চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। আজও তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে কান্নায় বুক ভাসান পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সারা দেশের লাখো-কোটি ভক্ত। সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা ঢাকায় তাঁর মায়ের বাসায় ভিড় করেন। অনেকে চলে যান সিলেটে শাহজালাল (রহ.) মাজারের পেছনে তাঁর কবরস্থানে। সেখানে গিয়ে ভক্তরা তাঁর কবর জিয়ারত করেন। প্রিয় নায়কের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন তাঁরা। অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুরহস্য নিয়ে অপরাধনামার আজকের আয়োজন
হায়দার আলী
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতোই আবির্ভাব হয়েছিল যে ছেলেটির, তাঁর নাম সালমান শাহ। তবে তাঁর মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিলেটে জন্ম নিলেও বড় হয়েছিলেন ঢাকাতেই। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক বাড়ে তাঁর। কৈশোর থেকে তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। শিশু একাডেমীর ছাত্র ছিলেন তিনি। '৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করে বের হন।
প্রথম ছবির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান কালের কণ্ঠকে বলেন, সালমান একদিন আনন্দ মেলা প্রযোজনা সংস্থায় একটি ছবি দিয়ে যায় অভিনেতা হওয়ার জন্য। তখন তাঁর ছবি দেখে পছন্দ হলে তাঁকে নায়ক করা হয়।
নায়ক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশের পর দেশীয় চলচ্চিত্রে রোমান্টিক ছবি প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। তিনি এ দেশের ছবির দর্শকদের মন কেড়ে নেন। সব শ্রেণীর দর্শকের মনমাতানো নায়ক হয়ে ওঠেন সালমান শাহ।
সালমানের অভিনয়জীবন শুরু বিটিভিতে। ১২ বছর বয়সে প্রথম টিভিতে অভিনয় করেন সালমান। বিটিভিতে সালমান সর্বশেষ অভিনয় করেছেন অরুণ চৌধুরীর প্যাকেজ নাটক 'নয়ন'-এ। ওই নাটকে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার। এ ছাড়া মামুনুর রশীদ রচিত ধারাবাহিক নাটক 'ইতিকথা'য় অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন। সালমান বেশ কিছু টিভি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছেন। তবে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবির মাধ্যমে '৯২ সালে চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন। এ ছবিতে সালমানের বিপরীতে ছিলেন নবাগতা নায়িকা মৌসুমী। ছবিটি মুক্তি পেলে সুদর্শন অভিনেতা হিসেবে রুপালি পর্দায় এসে সালমান জয় করে নেন দর্শকমন। তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কখনো। একের পর এক রাজ্য জয়ের মতো সালমানও পরপর অনেক হিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সালমানের ওপর ফ্লপ শব্দটি কোনোভাবেই প্রভাব ফেলতে পারেনি।
'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' মুক্তির পর তিনি 'তুমি আমার', 'অন্তরে অন্তরে', 'সুজন সখী', 'বিক্ষোভ', 'স্নেহ', 'প্রেম শক্তি', 'কন্যাদান', 'দেনমোহর', 'স্বপ্নের ঠিকানা', 'আঞ্জুমান', 'মহামিলন', 'আশা ভালোবাসা', 'বিচার', 'এই ঘর এই সংসার', 'প্রিয়জন', 'তোমাকে চাই', 'স্বপ্নের পৃথিবী', 'জীবন সংসার', 'মায়ের অধিকার', 'চাওয়া থেকে পাওয়া', 'প্রেম পিয়াসী', 'স্বপ্নের নায়ক', 'শুধু তুমি', 'আনন্দ অশ্রু', 'বুকের ভেতরে আগুন'সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্রে আসার পর থেকেই সালমান নানা ধরনের গল্প কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। মৌসুমী, শাবনূর, শাবনাজসহ অনেক নায়িকাকে জড়িয়ে সিনে পত্রিকাগুলোতে তাঁর সম্পর্কে প্রচুর গসিপ ছাপা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সালমান এবং তাঁর স্ত্রী সামিরার মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
তাঁর মৃত্যুর খবর সইতে না পেরে নরসিংদী এবং নারায়ণগঞ্জে দুই তরুণী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সালমান শাহ মা-বাবার বড় ছেলে। ছোট ভাই চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরান ওরফে ইভান সালমানের চেয়ে সাত বছরের ছোট। খুব ছোটবেলা থেকেই সালমান অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। সালমানের স্ত্রী সামিরার মায়ের ছোটবেলার বান্ধবী ছিলেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। ছোটবেলায় দুই বান্ধবী ঠিক করেছিলেন সালমান ও সামিরার বিয়ে হবে। বাস্তবে তাই হয়েছে ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর। ২১ বছর বয়সে সালমান বিয়ে করেন। সালমানের মৃত্যুর পর সামিরা অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন।
হায়দার আলী
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতোই আবির্ভাব হয়েছিল যে ছেলেটির, তাঁর নাম সালমান শাহ। তবে তাঁর মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিলেটে জন্ম নিলেও বড় হয়েছিলেন ঢাকাতেই। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক বাড়ে তাঁর। কৈশোর থেকে তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। শিশু একাডেমীর ছাত্র ছিলেন তিনি। '৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করে বের হন।
প্রথম ছবির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান কালের কণ্ঠকে বলেন, সালমান একদিন আনন্দ মেলা প্রযোজনা সংস্থায় একটি ছবি দিয়ে যায় অভিনেতা হওয়ার জন্য। তখন তাঁর ছবি দেখে পছন্দ হলে তাঁকে নায়ক করা হয়।
নায়ক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশের পর দেশীয় চলচ্চিত্রে রোমান্টিক ছবি প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। তিনি এ দেশের ছবির দর্শকদের মন কেড়ে নেন। সব শ্রেণীর দর্শকের মনমাতানো নায়ক হয়ে ওঠেন সালমান শাহ।
সালমানের অভিনয়জীবন শুরু বিটিভিতে। ১২ বছর বয়সে প্রথম টিভিতে অভিনয় করেন সালমান। বিটিভিতে সালমান সর্বশেষ অভিনয় করেছেন অরুণ চৌধুরীর প্যাকেজ নাটক 'নয়ন'-এ। ওই নাটকে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শমী কায়সার। এ ছাড়া মামুনুর রশীদ রচিত ধারাবাহিক নাটক 'ইতিকথা'য় অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন। সালমান বেশ কিছু টিভি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছেন। তবে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবির মাধ্যমে '৯২ সালে চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন। এ ছবিতে সালমানের বিপরীতে ছিলেন নবাগতা নায়িকা মৌসুমী। ছবিটি মুক্তি পেলে সুদর্শন অভিনেতা হিসেবে রুপালি পর্দায় এসে সালমান জয় করে নেন দর্শকমন। তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কখনো। একের পর এক রাজ্য জয়ের মতো সালমানও পরপর অনেক হিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সালমানের ওপর ফ্লপ শব্দটি কোনোভাবেই প্রভাব ফেলতে পারেনি।
'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' মুক্তির পর তিনি 'তুমি আমার', 'অন্তরে অন্তরে', 'সুজন সখী', 'বিক্ষোভ', 'স্নেহ', 'প্রেম শক্তি', 'কন্যাদান', 'দেনমোহর', 'স্বপ্নের ঠিকানা', 'আঞ্জুমান', 'মহামিলন', 'আশা ভালোবাসা', 'বিচার', 'এই ঘর এই সংসার', 'প্রিয়জন', 'তোমাকে চাই', 'স্বপ্নের পৃথিবী', 'জীবন সংসার', 'মায়ের অধিকার', 'চাওয়া থেকে পাওয়া', 'প্রেম পিয়াসী', 'স্বপ্নের নায়ক', 'শুধু তুমি', 'আনন্দ অশ্রু', 'বুকের ভেতরে আগুন'সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্রে আসার পর থেকেই সালমান নানা ধরনের গল্প কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। মৌসুমী, শাবনূর, শাবনাজসহ অনেক নায়িকাকে জড়িয়ে সিনে পত্রিকাগুলোতে তাঁর সম্পর্কে প্রচুর গসিপ ছাপা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে সালমান এবং তাঁর স্ত্রী সামিরার মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
তাঁর মৃত্যুর খবর সইতে না পেরে নরসিংদী এবং নারায়ণগঞ্জে দুই তরুণী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সালমান শাহ মা-বাবার বড় ছেলে। ছোট ভাই চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরান ওরফে ইভান সালমানের চেয়ে সাত বছরের ছোট। খুব ছোটবেলা থেকেই সালমান অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। সালমানের স্ত্রী সামিরার মায়ের ছোটবেলার বান্ধবী ছিলেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। ছোটবেলায় দুই বান্ধবী ঠিক করেছিলেন সালমান ও সামিরার বিয়ে হবে। বাস্তবে তাই হয়েছে ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর। ২১ বছর বয়সে সালমান বিয়ে করেন। সালমানের মৃত্যুর পর সামিরা অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন।

No comments:
Post a Comment