
বাংলাদেশের গলফের ইতিহাস নতুন করে লিখেছেন তিনি। ব্রুনাই ওপেন জয়ের পর সেলানগর মাস্টার্স টুর্নামেন্ট খেলতে সিদ্দিকুর রহমান এখন মালয়েশিয়ায়। কুয়ালালামপুর থেকে ফোনে নিজের অনুভূতি আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের এই গলফার
অভিনন্দন সিদ্দিক। কেমন আছেন?
সিদ্দিকুর রহমান: অনেক ধন্যবাদ। আসলে নিজেই বুঝতে পারছি না, কেমন আছি। সবকিছু কেমন যেন অন্য রকম লাগছে, বলে বোঝাতে পারছি না।
ব্রুনাই ওপেনজয়ী হিসেবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। বাড়তি কোনো গুরুত্ব পাচ্ছেন?
সিদ্দিকুর: প্রচুর। বলা যায়, সব রাতারাতি বদলে গেছে। গত বছরও এই টুর্নামেন্টটা খেলতে এসেছিলাম। তখন কেউ চিনত না। আর কাল (পরশু) এখানে পৌঁছানোর পর থেকে কর্মকর্তা-খেলোয়াড়দের অভিনন্দন পাচ্ছি। সাংবাদিকেরা তো ছাড়তেই চাচ্ছেন না।
সাংবাদিকেরা মূলত কী জানতে চাচ্ছেন?
সিদ্দিকুর: আজই (কাল) সকালে একটা সংবাদ সম্মেলন ছিল। সবাই আমাদের দেশের গলফের কী অবস্থা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলেন। বেশি করে জানতে চাচ্ছেন, আমার উঠে আসার গল্পটা। বাংলাদেশের গলফের অবস্থা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ছিল।
কী বললেন? আসলে কী অবস্থা বাংলাদেশের গলফের?
সিদ্দিকুর: আমি তো মনে করি ভালোই। শুধু আমি সাফল্য পেয়েছি বলে বলছি না। অনেক তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসছে। ওরা কিন্তু আমার মতোই খেলে। শুধু যদি বেশি বেশি খেলতে পারে, তাহলে দেখবেন আমাদের গলফ বিশ্বে খুব দ্রুত একটা জায়গা করে নিয়েছে।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে?
সিদ্দিকুর: হ্যাঁ। ওনারা তো খুবই আনন্দিত। দেশের সাংবাদিকেরা নাকি ওনাদের খুব ফোন করছেন। বাড়িতেও অনেকে গেছেন।
দেশ থেকে ফোন-টোন...
সিদ্দিকুর: ফোন নম্বর তো এখনো সবাই জানে না। তবে প্রচুর মেইল আসছে। সব খুলেও দেখতে পারছি না। আমার দুনিয়াটাই যেন বদলে গেছে!
এই একটা টুর্নামেন্টেই জীবন বদলে যাবে, কল্পনা করেছিলেন?
সিদ্দিকুর: জেতার আশা তো থাকেই। কিন্তু এখনই এই ওপেন জিতে ফেলব, এটা কল্পনা করিনি। আরও সময় লাগবে বলে মনে করেছিলাম।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সিদ্দিকুর: এখন তো পরিকল্পনা একটু বদল করে ফেলতে হচ্ছে। ব্রুনাই ওপেন জেতায় ইউরোপ-আমেরিকার ওপেনগুলোর সঙ্গে সংযুক্তি আছে, এমন সব টুর্নামেন্টে আগামী দুই বছর খেলতে পারব। এরই মধ্যে সুইজারল্যান্ড থেকে একটা আমন্ত্রণ পেয়েছি। আগামী ২৭ তারিখ ওখানে যাব। এর মধ্যে জাপানেও একটা টুর্নামেন্ট খেলব। এখন ভারতীয় টুর্নামেন্টগুলো কম খেলে মূলত এ ধরনের টুর্নামেন্টই খেলতে চাই। তাহলে আমি লক্ষ্যের দিকে যেতে পারব।
সেই লক্ষ্যটা কী?
সিদ্দিকুর: চূড়ান্ত লক্ষ্য তো ইউরোপিয়ান সার্কিটে খেলা, ইউএস ট্যুরে খেলা। সে জন্য আগে সংযুক্ত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভালো করতে হবে। ওসব টুর্নামেন্টে ভালো করলে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকার মেজর টুর্নামেন্টে খেলতে পারব।
সুইজারল্যান্ডের টুর্নামেন্টটার মান কেমন?
সিদ্দিকুর: অনেকটা ইউরোপিয়ান ট্যুরের মানের খেলাই হবে ওখানে। ইউএস পিজিএ, মাস্টার্স টুর্নামেন্ট বা অন্য মেজর টুর্নামেন্টে খেলে এমন অনেকেই খেলবে। এশিয়া থেকে মাত্র ১০ জন খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পাচ্ছে ওখানে।
সেখানে ভালো করার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
সিদ্দিকুর: আমি ভয় পাই না। আমি কম লম্বা, কালো, গায়ে শক্তি কম, গরিব। আর ওরা লম্বা, সাদা, শক্তি বেশি, ধনী—এসব ভেবে বসে থাকলে চলবে না। আমি বুঝেছি, এসব আসলে কোনো ব্যাপারই নয়। দক্ষতা থাকলে যেকোনো ফলাফল করা সম্ভব।
অভিনন্দন সিদ্দিক। কেমন আছেন?
সিদ্দিকুর রহমান: অনেক ধন্যবাদ। আসলে নিজেই বুঝতে পারছি না, কেমন আছি। সবকিছু কেমন যেন অন্য রকম লাগছে, বলে বোঝাতে পারছি না।
ব্রুনাই ওপেনজয়ী হিসেবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। বাড়তি কোনো গুরুত্ব পাচ্ছেন?
সিদ্দিকুর: প্রচুর। বলা যায়, সব রাতারাতি বদলে গেছে। গত বছরও এই টুর্নামেন্টটা খেলতে এসেছিলাম। তখন কেউ চিনত না। আর কাল (পরশু) এখানে পৌঁছানোর পর থেকে কর্মকর্তা-খেলোয়াড়দের অভিনন্দন পাচ্ছি। সাংবাদিকেরা তো ছাড়তেই চাচ্ছেন না।
সাংবাদিকেরা মূলত কী জানতে চাচ্ছেন?
সিদ্দিকুর: আজই (কাল) সকালে একটা সংবাদ সম্মেলন ছিল। সবাই আমাদের দেশের গলফের কী অবস্থা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলেন। বেশি করে জানতে চাচ্ছেন, আমার উঠে আসার গল্পটা। বাংলাদেশের গলফের অবস্থা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ছিল।
কী বললেন? আসলে কী অবস্থা বাংলাদেশের গলফের?
সিদ্দিকুর: আমি তো মনে করি ভালোই। শুধু আমি সাফল্য পেয়েছি বলে বলছি না। অনেক তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসছে। ওরা কিন্তু আমার মতোই খেলে। শুধু যদি বেশি বেশি খেলতে পারে, তাহলে দেখবেন আমাদের গলফ বিশ্বে খুব দ্রুত একটা জায়গা করে নিয়েছে।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে?
সিদ্দিকুর: হ্যাঁ। ওনারা তো খুবই আনন্দিত। দেশের সাংবাদিকেরা নাকি ওনাদের খুব ফোন করছেন। বাড়িতেও অনেকে গেছেন।
দেশ থেকে ফোন-টোন...
সিদ্দিকুর: ফোন নম্বর তো এখনো সবাই জানে না। তবে প্রচুর মেইল আসছে। সব খুলেও দেখতে পারছি না। আমার দুনিয়াটাই যেন বদলে গেছে!
এই একটা টুর্নামেন্টেই জীবন বদলে যাবে, কল্পনা করেছিলেন?
সিদ্দিকুর: জেতার আশা তো থাকেই। কিন্তু এখনই এই ওপেন জিতে ফেলব, এটা কল্পনা করিনি। আরও সময় লাগবে বলে মনে করেছিলাম।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সিদ্দিকুর: এখন তো পরিকল্পনা একটু বদল করে ফেলতে হচ্ছে। ব্রুনাই ওপেন জেতায় ইউরোপ-আমেরিকার ওপেনগুলোর সঙ্গে সংযুক্তি আছে, এমন সব টুর্নামেন্টে আগামী দুই বছর খেলতে পারব। এরই মধ্যে সুইজারল্যান্ড থেকে একটা আমন্ত্রণ পেয়েছি। আগামী ২৭ তারিখ ওখানে যাব। এর মধ্যে জাপানেও একটা টুর্নামেন্ট খেলব। এখন ভারতীয় টুর্নামেন্টগুলো কম খেলে মূলত এ ধরনের টুর্নামেন্টই খেলতে চাই। তাহলে আমি লক্ষ্যের দিকে যেতে পারব।
সেই লক্ষ্যটা কী?
সিদ্দিকুর: চূড়ান্ত লক্ষ্য তো ইউরোপিয়ান সার্কিটে খেলা, ইউএস ট্যুরে খেলা। সে জন্য আগে সংযুক্ত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভালো করতে হবে। ওসব টুর্নামেন্টে ভালো করলে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকার মেজর টুর্নামেন্টে খেলতে পারব।
সুইজারল্যান্ডের টুর্নামেন্টটার মান কেমন?
সিদ্দিকুর: অনেকটা ইউরোপিয়ান ট্যুরের মানের খেলাই হবে ওখানে। ইউএস পিজিএ, মাস্টার্স টুর্নামেন্ট বা অন্য মেজর টুর্নামেন্টে খেলে এমন অনেকেই খেলবে। এশিয়া থেকে মাত্র ১০ জন খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পাচ্ছে ওখানে।
সেখানে ভালো করার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
সিদ্দিকুর: আমি ভয় পাই না। আমি কম লম্বা, কালো, গায়ে শক্তি কম, গরিব। আর ওরা লম্বা, সাদা, শক্তি বেশি, ধনী—এসব ভেবে বসে থাকলে চলবে না। আমি বুঝেছি, এসব আসলে কোনো ব্যাপারই নয়। দক্ষতা থাকলে যেকোনো ফলাফল করা সম্ভব।

No comments:
Post a Comment