পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি আর রেকর্ড নিয়ে আলোচনা ক্রিকেটের মতো এতটা সম্ভবত আর কোনো খেলাতেই হয় না। রেকর্ডের খেলা ক্রিকেটেও এমন কিছু রেকর্ড আছে যেগুলোর ঠিক ‘তারকা ইমেজ’ নেই। গুরুত্ব হয়তো কম নয়, কিন্তু আলোচনা তেমন হয় না, আড়ালে পড়ে থাকে। ক্রিকেটের এমন কিছু রেকর্ডের কয়েকটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন আরিফুল ইসলাম
অর্ধেক পথ পেরিয়ে
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি কার—এটা কোনো প্রশ্নই নয়। ক্রিকেট অনুরাগী মাত্রেরই তা জানা। কিন্তু প্রশ্নটা যদি হয়—টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি কার—‘কে যেন’ ‘কে যেন’ বলে মাথা চুলকানো শুরু হয়ে যাবে। টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি একসময় যাঁর ছিল, সেই অ্যালান বোর্ডার এখনো টেস্টে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটির মালিক। আর খুব বেশি দিন অবশ্য তা থাকবেন বলে মনে হয় না। কারণ টেন্ডুলকার-দ্রাবিড়রা তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। খুব একটা পিছিয়ে নেই পন্টিং-চন্দরপলও। সেরা পাঁচে না থাকলেও হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনাময়দের মধ্যে আছেন জ্যাক ক্যালিসও (৫৪)।
বলের পর বল
যাঁরা জানেন তাঁরা তো অবশ্যই, যাঁরা এখন জানবেন তাঁদেরও অবাক হওয়ার কথা নয়। প্রায় দেড় যুগ শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণ প্রায় একা সামলেছেন যিনি, বোলিং করে গেছেন অবিরাম, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, ক্লান্তিবিহীন। নতুন বলে, পুরোনো বলে। দিনের শুরুতে, মাঝে, শেষ বিকেলে। টেস্টে সবচেয়ে বেশি বল করার রেকর্ডটা তো মুত্তিয়া মুরালিধরনেরই হওয়ার কথা। বিস্ময়কর শুধু সংখ্যাটা। একবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, একজন লোক রানআপ নিয়ে একটা একটা করে ৪৪ হাজার বল করছেন! অনুমিতভাবেই পরের দুজনও স্পিনার এবং নাম দুটিও প্রত্যাশিতই—অনিল কুম্বলে ও শেন ওয়ার্ন। ক্ষয়িষ্ণু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণ দীর্ঘদিন নিজের কাঁধে বয়ে বেড়ানোর প্রমাণ হিসেবেই যেন পেসারদের মধ্যে সবার আগে কোর্টনি ওয়ালশ। ম্যাকগ্রার দলে উইকেটশিকারির অভাব ছিল না, তার পরও পাঁচে থাকা প্রমাণ করছে অধিনায়কের কত বড় নির্ভরতা ছিলেন তিনি।
গ্রেটনেসের সূচক!
ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, টেস্টেও এখন ব্যাটসম্যানদেরও স্ট্রাইক রেট নিয়ে কত আলোচনা। বোলারদের স্ট্রাইক রেটটা আড়ালেই পড়ে থাকে। অথচ একজন বোলারের কার্যকারিতা বোঝা যায় এই স্ট্রাইক রেট থেকেই। একটি উইকেট পেতে গড়ে কতটি বল লাগল—এই স্ট্রাইক রেটের হিসাবে সবার ওপরে জর্জ লোহম্যান। মাত্র ১৮ টেস্টে ইংলিশ পেসারের ১১২ উইকেট, ৯ বার ইনিংসে ৫ উইকেট, ম্যাচে ১০ উইকেট ৫ বার। প্রতিটি উইকেটের জন্য লোহম্যানের লেগেছে গড়ে ৩৪.১ বল! লোহম্যানের কৃতিত্ব আরও পরিষ্কার হবে আধুনিক গ্রেটদের সঙ্গে তুলনা টানলেই। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুরালিধরনের স্ট্রাইক রেট ৫৫, শেন ওয়ার্নের ৫৭.৪, অ্যামব্রোসের ৫৪.৫, ওয়াসিম আকরামের ৫৪.৫। চোট ঝামেলা না বাধালে শেন বন্ড নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতেন কিংবা ডেল স্টেইন যে ‘গ্রেট’ হওয়ার পথে, এটাও জানিয়ে দেবে স্ট্রাইক রেটের তালিকা।
একবারও ব্যাট না তুলেই!
ক্যারিয়ারজুড়ে ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক হয়ে থাকা ওয়াকারের একটা ব্যাটিং রেকর্ডও আছে। ফিফটি না করে টেস্টে এক হাজার রান করার একমাত্র কীর্তি পাকিস্তানের বর্তমান কোচের। ৪০-এর ঘরে একটিই রান। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৪৫। ওয়াকারের পরের চারজনই এই তালিকায় আছেন স্রেফ ‘দুর্ভাগ্যে’, সবারই সর্বোচ্চ ইনিংসটা যে অপরাজিত! ইংলিশ ফাস্ট বোলার ট্রুম্যান ফিফটির সুযোগ পাননি দল ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়ায়, বাকিরা সতীর্থদের ব্যর্থতায়। তালিকার পাঁচে যিনি, সেই ওয়ালশ আবার আরেকটা ব্যাটিং-কীর্তিতেও অমর হয়ে আছেন। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি শূন্য (৪৩)!
বুড়ো বয়সে
ক্রিকেট খেলতেন মনের আনন্দে। ১৮৭৭ সালে জেমস লিলিহোয়াইটের ইংল্যান্ড দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন জেমস সাউদারটন। মেলবোর্নে দুটি ম্যাচও খেললেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু ‘টেস্ট’ ম্যাচ বলে কিছুর অস্তিত্ব ছিল না তখন। তিন বছর পর সাউদারটন চলে গেলেন ওপারের জগতে। আরও পরে ধারণা এল টেস্ট ক্রিকেটের, মেলবোর্নের ওই ম্যাচ দুটিকেই ধরে নেওয়া হলো প্রথম দুই টেস্ট। সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড বুকের দুটি পাতায় জায়গা হয়ে গেল সাউদারটনের। মৃত্যুকে উইকেট দেওয়া প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার তিনি, এই রেকর্ড ভাঙবে কীভাবে? অন্য রেকর্ডটিকেও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অমর’ ঘোষণা করে দেওয়া যায়। টেস্ট শুরুর দিন তাঁর বয়স ছিল ৪৯ বছর ১১৯ দিন, সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেকের এই রেকর্ড ভাঙবে না কোনো দিনই। সাউদারটনের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন মিরন বখশ। ক্যারিয়ারের সেরা সময়টায় তো জাতীয় দলে খেলতেই পারেননি, অভিষেকটা আর বছর দেড়েক পরে হলে ‘অমর’ হয়ে যেতেই এই অফ স্পিনারও!
এত দিন পর আবার!
জন্ম এক দেশে, টেস্ট খেলেছেন অন্য দুটি দেশের হয়ে। জন ট্রাইকস টেস্ট ইতিহাসে একমেবাদ্বিতীয়ম। আরেকটা অস্বাভাবিক কীর্তিতেও তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে। জন্ম মিসরে, বেড়ে উঠেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাদের হয়েই টেস্ট অভিষেক ১৯৭০ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা তিন টেস্ট খেলে মাত্র ৪ উইকেট। এরপরই বর্ণবাদের কারণে নিষিদ্ধ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ে যখন টেস্ট স্ট্যাটাস পেল, সেখানে পাড়ি জমানো ট্রাইকসের বয়স তখন ৪৫। জিম্বাবুয়ের অভিষেক টেস্ট দিয়ে আবার ফিরলেন এই অফ স্পিনার, মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ২২ বছর ২২২ দিন! বিশ্ব রেকর্ড! এবার প্রথম টেস্টেই ৫ উইকেট, ভালো করলেন পরের ৪ টেস্টেও। কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যস্ততায় ছাড়লেন খেলা। এমন নানা রকম গল্প আছে এই রেকর্ডের তালিকায় থাকা প্রায় সবারই। ১১তম টেস্ট খেলার প্রায় ১৮ বছর পর জর্জ গান ১২তম টেস্ট খেললেন, বয়স তখন ৫১ ছুঁই ছুঁই! ডন ক্লেভারলি অভিষেক টেস্টে উইকেটশূন্য থাকার পর বাদ পড়লেন। ১৪ বছর পর ফিরে আবার উইকেটশূন্য, এবার ক্যারিয়ারই শেষ!
চারের রাজা
১৯৮৯ সালের ১৬ নভেম্বর করাচিতে ওয়াকার ইউনুসকে দিয়ে শুরু, সর্বশেষটি গত ৪ জানুয়ারি কেপটাউনে মরনে মরকেলকে। মাঝের ২৮৮ ইনিংসে শচীন টেন্ডুলকার কতগুলো চার করেছেন, সেটা বলার সাধ্য নেই কারও। কারণ ১৯৯০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চণ্ডীগড় টেস্টে ১১ রানের ইনিংসটায় কটি চার মেরেছিলেন বা আদৌ মেরেছিলেন কি না, সেই হিসাব নেই। টেন্ডুলকারের মোট চারের পাশে তাই একটা ‘যোগ’ চিহ্ন। হিসাব না থাকায় অবশ্য ক্ষতি খুব একটা হয়নি, টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মতো চার মারাতেও টেন্ডুলকারের ধারেকাছে নেই কেউ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খেলা ছেড়েছেন অনেক দিন। ‘কাছাকাছি’ থাকা অন্যদের ক্যারিয়ারও এখন গোধূলিতে। টেন্ডুলকারের এই রেকর্ড ভাঙতে তাই হয়তো প্রয়োজন হবে টেন্ডুলকারের মতো কোনো একজনকে!
বুড়োর সেঞ্চুরি
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯৯* সেঞ্চুরি—এই একটা কীর্তিই তাঁকে অমর করে রাখার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু শুধু কি এই? প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬১ হাজার রান, টেস্টে ৫৭ ছুঁইছুঁই গড়, ক্রিকেট রূপকথায় ঢুকে যাওয়া হাবার্ট সাটক্লিফের সঙ্গে ওপেনিং জুটি, নাইটহুড পাওয়া প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার—স্যার জ্যাক হবসের অমরত্বের দাবি আরও অনেক কারণেই। কম আলোচিত স্মরণীয় কীর্তিও আছে আরেকটি। ‘দ্য মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত ওপেনার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ সেঞ্চুরিটা করেছিলেন ১৯২৯ অ্যাশেজে, মেলবোর্নে; যেটি শুরুর সময় হবসের বয়স ছিল ৪৬ বছর ৮২ দিন, তাঁর চেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কেউ। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে সর্বশেষ সেঞ্চুরির বয়সও ১৭ হতে চলল (১৯৯৪ সালে গ্রাহাম গুচ)। ১৯৯ সেঞ্চুরির মতো হবসের এই রেকর্ডটিকেও তাই চিরস্থায়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়াই যায়!
* অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রিকেট স্ট্যাটিকশিয়ান কিছুদিন আগে সিলোন সফরে হবসের দুটি সেঞ্চুরিকেও প্রথম শ্রেণীর বলে রায় দেওয়ায় ১৯৭ থেকে হবসের সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ১৯৯।
এমনও আউট
টেস্ট ক্রিকেটে সাড়ে তিন শ রানের ইনিংস খেলা প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি। তাঁর ৩৬৪ টেস্টের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল ২০ বছর ধরে। লারা-হেইডেন-সোবার্সদের সৌজন্যে লেন হাটন এখন ছয়ে। তবে এমন কীর্তি তাঁর আছে, টেস্ট ইতিহাসেই যার নজির দ্বিতীয়টি নেই। ১৯৫১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভাল টেস্ট জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬৩ রান। ফ্রাঙ্ক লোসনকে নিয়ে ৫০ মিনিটেই ৫৩ তুলে ফেলেছিলেন হাটন। অ্যাথোল রোয়ানের একটি বল হঠাৎ লাফিয়ে উঠল। ঠিকমতো খেলতে পারেননি হাটন, গ্লাভসে লেগে হাতের ওপর দিয়ে গড়িয়ে বল পড়ে যাচ্ছিল। উইকেটকিপার রাসেল এনডিন আবার ছুটে আসছিলেন তাঁকে ক্যাচ বানাতে। মুহূর্তের মধ্যে কী হয়ে গেল, ব্যাট দিয়ে বলটি সরিয়ে দিলেন হাটন। ফিল্ডারদের আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার ডাই ডেভিস, টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট! অস্বাভাবিক আউটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘স্বাভাবিক’ হ্যান্ডলড দ্য বল, মোট সাতজন এর শিকার। তালিকায় আছে বাংলাদেশের পরোক্ষ উপস্থিতিও। ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে খেলতে বিরক্ত হয়েই হোক আর পরের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ দিতে, ইচ্ছে করে উইকেট ছেড়ে চলে এসেছিলেন মারভান আতাপাত্তু ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। টেস্ট ক্রিকেটের অভিধানে যুক্ত হয়েছে রিটায়ার্ড আউট!
ক্লান্তিহীন, বিরামহীন
অতিরিক্ত ক্রিকেটের চাপেই হোক আর শৃঙ্খলার অভাবে, নেটে বা অনুশীলনেও ইনজুরিতে পড়ে যান অনেক ক্রিকেটার। বিশ্রাম আর বাদ পড়া তো আছেই। অথচ খুব বেশি আগের ঘটনা নয়, টানা ১৫৩ টেস্ট খেলেছেন অ্যালান বোর্ডার! ১৯৭৮-৭৯ অ্যাশেজে অভিষেক, টানা তিন টেস্ট খেলে সুবিধা করতে না পারায় শেষ টেস্টে বাদ। জীবনে ওই একবারই। পরের টেস্টেই ফিরেছেন, টানা খেলে গেছেন ক্যারিয়ারের শেষ দিনটি পর্যন্ত! মার্ক ওয়াহ আর অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তো টানাই খেলে গেছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। টানা টেস্ট খেলার তালিকায় প্রথম কোনো পেসারকে পাওয়া যাচ্ছে ১৮ নম্বরে। তবে সেই পেসার, কপিল দেব আসলে থাকতে পারতেন তালিকার দুইয়ে! অভিষেকের পর টানা ৬৬ টেস্ট খেলার পর বাজে শট খেলার শাস্তি হিসেবে কপিলকে পরের টেস্টে বাদ দেওয়া হয়। ফেরার পর আবার টানা ৬৫ টেস্ট খেলেছেন, মানে বিতর্কিতভাবে বাদ না পড়লে হতো টানা ১৩১ টেস্ট!
দাদার পর নাতি
ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন চারটি। কোনো ফিফটি নেই, নেই কোনো উইকেটও। তার পরও দু-দুটি বিশ্ব রেকর্ডের মালিক! এই ‘সৌভাগ্যবান’ বা ‘দুর্ভাগ্যবানের’ নাম যযুর্বেন্দ্র সিং। ব্যাটিং-বোলিংয়ে কিছু করতে পারেননি, কিন্তু ফিল্ডিং আছে না! অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ৫ আর ম্যাচে ৭ ক্যাচ নিয়েছিলেন গুজরাটের অলরাউন্ডার। এককভাবে অবশ্য নয়, দুটি রেকর্ডই ছুঁয়েছিলেন যযুর্বেন্দ্র। ইনিংসে ৫ ক্যাচ নিয়ে ভিক রিচার্ডসনের, ক্রিকেটীয় কীর্তির চেয়েও যিনি বেশি পরিচিত বিখ্যাত নাতিদের কারণে। তাঁর তিন নাতির নাম—ইয়ান, গ্রেগ ও ট্রেভর, বিখ্যাত ‘চ্যাপেল ব্রাদার্স!’ প্রথম ইনিংসে ৫ ক্যাচ নিয়ে যযুর্বেন্দ্র ছুঁয়েছিলেন দাদাকে, পরের ইনিংসে দুটি নিয়ে ছুঁয়েছিলেন নাতি গ্রেগ চ্যাপেলের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের রেকর্ডকে!
No comments:
Post a Comment