মাশরাফি যদি থাকতেন!
ইলিয়াস খান
পাকিস্তানি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার আকিব জাভেদ এক সময় দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘আমার জন্ম হয়েছে ভুল সময়ে’। তার এই খেদোক্তির কারণ ছিল ‘টু ডাব্লিউ’। অর্থাত্ ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুস। এই জুটি থাকায় পুরো ক্যারিয়ারে দলে মোটামুটি আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন আকিব জাভেদ। এই ম্যাচে আছেন তো পরের ম্যাচে নেই। কিন্তু বিশ্বের অনেক দলেই তখন জাভেদের মানের বোলার ছিল না। এ কারণেই তিনি ঐ খেদোক্তি করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্ম হয়েছিল সঠিক সময়েই। বাংলাদেশ দলে তার অপরিহার্যতাও প্রমাণ করেছেন বার বার। কিন্তু ‘কার পাপে’ কে জানে, ‘নড়াইল এক্সপ্রেসে’র খেলা হলো না এবারের বিশ্বকাপে। কোচ ডেমি সিডন্স বলেছেন, ‘ফিটনেস নেই, তাই মাশরাফিকে দলে রাখা গেল না।’ কিন্তু মাশরাফি বলেছেন, তিনি পুরোপুরি ফিট। এ নিয়ে দু’জনার তর্কযুদ্ধের ছবিও ছাপা হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। বিষয়টি অনেকটা ডাক্তার-রোগীর তর্কযুদ্ধের মতো। রোগী বলছেন, আমার পেটে কোনো ব্যথা নেই। ডাক্তার বলছেন, অবশ্যই আছে এবং কুইনাইন খেতে হবে। দল থেকে মাশরাফির বাদ পড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চায়ের কাপে কম ঝড় ওঠেনি। তার জন্মস্থান নড়াইলে হরতাল পর্যন্ত হয়েছে। ‘এই বুঝি দলে ঢুকলেন মাশরাফি’—এমন একটি আশাও ধিকধিক করে জ্বলছিল বেশ কিছুদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না।
মাশরাফির জন্য আস্ফাালন থাকলেও অন্তত গত দু’দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কারণে ক্রিকেটপাগল মানুষ বিষয়টি একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিল। কিন্তু আবার তা চাঙ্গা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখে। পেসারদের দৈন্যতা দেখে মনে হয়েছে, ইস, মাশরাফি যদি থাকতেন?
আর মনে পড়বেই বা না কেন? ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারার দেশ ত্রিনিদাদে ভারতের ব্যাটিং লাইন চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছিলেন এই মাশরাফি, বাংলাদেশে এ যাবতকালের সেরা পেসার।
২০০৭ সালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একই দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল টাইগাররা। চার বছর আগের সেই ম্যাচটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে এখনও অম্লান। কারণ শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে সে দিন ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। দেশসেরা পেসার মাশরাফি ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সেই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন শেবাগ-শচীনদের চারটি উইকেট।
তিনি ৯.৩ ওভার বল করে দু’টি মেডেনসহ ৩৮ রানের বিপরীতে পেয়েছিলেন চার উইকেট। তার ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে সেদিন পোর্ট অব স্পেনে অসহায় ছিল ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন। তিনি তুলে নিয়েছিলেন হার্ড হিটার শেবাগ, রবীন উত্থাপ্পা, আগারকার ও মুনাফ প্যাটেলের মতো ব্যাটসম্যানদের। ভারত পুরো ৫০ ওভার খেলতেও পারেনি। তিন বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়। ৪৯.৩ ওভারে করেছিল ১৯১ রান। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতেই ১৯২ রান নিয়ে জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। এই স্মৃতি রোমন্থন করে গতকাল অনেকেই হা-হুতাশ করেছেন। যে শেবাগকে মাশরাফি মাত্র দু’রানে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাজঘরে, গতকাল সেই শেবাগই করলেন ১৭৫ রান। পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে ছেড়েছেন বোলারদের। ঐ ম্যাচে রবিন উত্থাপাকে ৯, আগারকারকে ০ এবং মুনাফ প্যাটেলকে ১৫ রানে আউট করেছিলেন মাশরাফি।
গতকাল বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথে নতুন
বল নিয়ে আক্রমণ শানান শফিউল ইসলাম। কিন্তু এই আক্রমণ ধারালো হয়নি। তিনি সাত ওভারে রান দিয়েছেন ৬৯। উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। প্রচণ্ড মার খাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সাকিব আর বলই তুলে দেননি শফিউলের হাতে।
ইনজুরির কারণে দলে মাশরাফির ঠাঁই হয়নি বলা হলেও মাশরাফি নিজেকে শতভাগ ফিট মনে করেন। কিন্তু কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে আনফিট বলে বাদ দিয়েছেন মূল স্কোয়াড থেকে। এই বাদ দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে সেই প্রশ্ন থাকবে দীর্ঘদিন। যেমন মনে থাকবে মাশরাফিহীন টাইগারদের ওপর বিরেন্দর শেবাগ আর বিরাট কোহলির তাণ্ডব।
মাশরাফির জন্য আস্ফাালন থাকলেও অন্তত গত দু’দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কারণে ক্রিকেটপাগল মানুষ বিষয়টি একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিল। কিন্তু আবার তা চাঙ্গা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখে। পেসারদের দৈন্যতা দেখে মনে হয়েছে, ইস, মাশরাফি যদি থাকতেন?
আর মনে পড়বেই বা না কেন? ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারার দেশ ত্রিনিদাদে ভারতের ব্যাটিং লাইন চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছিলেন এই মাশরাফি, বাংলাদেশে এ যাবতকালের সেরা পেসার।
২০০৭ সালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একই দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল টাইগাররা। চার বছর আগের সেই ম্যাচটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে এখনও অম্লান। কারণ শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে সে দিন ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। দেশসেরা পেসার মাশরাফি ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সেই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন শেবাগ-শচীনদের চারটি উইকেট।
তিনি ৯.৩ ওভার বল করে দু’টি মেডেনসহ ৩৮ রানের বিপরীতে পেয়েছিলেন চার উইকেট। তার ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে সেদিন পোর্ট অব স্পেনে অসহায় ছিল ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন। তিনি তুলে নিয়েছিলেন হার্ড হিটার শেবাগ, রবীন উত্থাপ্পা, আগারকার ও মুনাফ প্যাটেলের মতো ব্যাটসম্যানদের। ভারত পুরো ৫০ ওভার খেলতেও পারেনি। তিন বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়। ৪৯.৩ ওভারে করেছিল ১৯১ রান। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতেই ১৯২ রান নিয়ে জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। এই স্মৃতি রোমন্থন করে গতকাল অনেকেই হা-হুতাশ করেছেন। যে শেবাগকে মাশরাফি মাত্র দু’রানে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাজঘরে, গতকাল সেই শেবাগই করলেন ১৭৫ রান। পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে ছেড়েছেন বোলারদের। ঐ ম্যাচে রবিন উত্থাপাকে ৯, আগারকারকে ০ এবং মুনাফ প্যাটেলকে ১৫ রানে আউট করেছিলেন মাশরাফি।
গতকাল বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথে নতুন
বল নিয়ে আক্রমণ শানান শফিউল ইসলাম। কিন্তু এই আক্রমণ ধারালো হয়নি। তিনি সাত ওভারে রান দিয়েছেন ৬৯। উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। প্রচণ্ড মার খাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সাকিব আর বলই তুলে দেননি শফিউলের হাতে।
ইনজুরির কারণে দলে মাশরাফির ঠাঁই হয়নি বলা হলেও মাশরাফি নিজেকে শতভাগ ফিট মনে করেন। কিন্তু কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে আনফিট বলে বাদ দিয়েছেন মূল স্কোয়াড থেকে। এই বাদ দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে সেই প্রশ্ন থাকবে দীর্ঘদিন। যেমন মনে থাকবে মাশরাফিহীন টাইগারদের ওপর বিরেন্দর শেবাগ আর বিরাট কোহলির তাণ্ডব।
No comments:
Post a Comment