রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ব্যয় রাষ্টীয় তহবিল থেকে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে স্টেট ফান্ডিং (নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল) গঠনের খসড়া গতকাল নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করার পর তা চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠকের পর সিইসি ড. শামসুল হুদা এ তথ্য জানান। সিইসি বলেন, নির্বাচনকে কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে আন্তর্জাতিক রূপরেখা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয়ের লক্ষ্যে স্টেট ফান্ডিং গঠনে একটি খসড়া করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বৈঠকে দুই নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হুসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেছেন, আগামী মার্চে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ২৮-৩০টি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপকূলীয় এলাকার এসব ইউপি নির্বাচনের তফসিল চলতি মাসের শেষের দিকে ঘোষণা করা হবে। বাকি অঞ্চলের ইউপি নির্বাচন মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সিইসি বলেন, ইউপি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। এরপর ইউপি নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেয়া হচ্ছে। কোন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে সব রাজনৈতিক দল এমনকি নিবন্ধিত সব দলগুলোকেও ডাকা হবে না। সংসদে যেসব দলের প্রতিনিধিত্ব আছে শুধু সেসব দলকেই আলোচনায় ডাকা হবে।
DAINIK AMARDESH
No comments:
Post a Comment