শাহরুখ দিল্লীর পাঠান মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা তাজ মোহম্মদ খান ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতাসংগ্রামী এবং মা লতিফ ফাতিমা ছিলেন একজন ম্যাজিষ্ট্রেট ও সমাজসেবী। যিনি জাঞ্জুয়া রাজপুত পরিবারের মেজর জেনারেল শাহ নওয়াজ খানের কন্যা। শাহ নওয়াজ খান সুভাষ চন্দ্র বোসের অধীনে আজাদ হিন্দ ফৌজের অধিনায়ক ছিলেন।
শাহরুখ খানের পিতা ভারত ভাগের আগে বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের কিসসা কহানী বাজার থেকে দিল্লীতে চলে আসেন। তার মায়ের বাড়ি ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। শাহরুখ খানের শেহনাজ নামে একজন বড় বোন রয়েছে।
শাহরুখ দিল্লীর সেইন্ট কলম্বাস স্কুলে পড়তেন এবং এখানে তিনি ক্রীড়া, নাটক ও পড়াশোনায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। এখানে তাকে সম্মানজনক সোর্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তিনি হন্সরাজ কলেজ থেকে (১৯৮৫-১৯৮৮) অর্থনীতিতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “মাস কম্যুনিকেশন” নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।
তার পিতামাতার মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে শাহরুখ খান নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য নতুন দিল্লী ত্যাগ করে মুম্বাইতে আসেন। ১৯৯১ সালে তিনি গৌরী (ছিব্বর) খানকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান, ছেলে আরিয়ান খান (জন্ম ১৯৯৭) ও মেয়ে সুহানা খান (জন্ম ২০০০)।
যুক্তরাজ্যের চলচ্চিত্র প্রযোজক নাসরিন মুন্নি কবির শাহরুখ খানের জীবন অবলম্বনে দুই খন্ডের ডকুমেন্টারি তৈরী করেছেন, দ্য ইনার এন্ড আউটার ওয়ার্ল্ড অব শাহ রুখ খান (২০০৫) নামে। এতে শাহরুখ খানের ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত টেম্পটেশন কনসার্ট ট্যুরের বিভিন্ন সময়ে নেয়া সাক্ষাৎকার চিত্রিত হয়েছে। সম্প্রতি আরেকটি আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে “স্টিল রিডিং খান” (২০০৬) নামে যাতে শাহরুখ তার পরিবার ও জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।
শাহরুখ খানকে ফরাসি সরকার চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ “Ordre des Arts et des Lettres” (অর্ডার অফ দ্য আর্টস এন্ড লিটারেচার) সম্মাননায় ভুষিত করেছে। লন্ডনে মাদাম তুসোর মোম জাদুঘরে তার মুর্তি রয়েছে।
ক্যারিয়ার
অভিনেতা
১৯৮৮ সালে ফৌজী টেলিভিশন সিরিয়ালে কমান্ডো অভিমন্যু রাই চরিত্রের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে সার্কাস সিরিয়ালে তিনি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেন, যেটি ছিল একজন সাধারন সার্কাস অভিনেতার জীবন নিয়ে রচিত। একই বছর তিনি অরুন্ধতী রায়ের In Which Annie Gives it Those Ones টেলি-চলচ্চিত্রে গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর নতুন জীবন শুরু করার লক্ষ্যে শাহরুখ নয়াদিল্লী ছেড়ে মুম্বাই পাড়ি জমান।
ফৌজীতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হেমা মালিনীর চোখে পড়েন যিনি শাহ রুখ খানকে তার অভিষেক ছবি দিল আশনা হ্যায়তে অভিনয়ের সুযোগ দেন। দিওয়ানা (১৯৯২) ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রের জগতে যাত্রা শুরু করেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন দিব্যা ভারতী। ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং তিনি বলিউডে আসন গাড়তে সক্ষম হন। আসলে তার প্রথম ছবি হওয়ার কথা ছিল দিল আশনা হ্যায় কিন্তু দিওয়ানা প্রথমে মুক্তি পায়। একই বছরে তিনি আরও কিছু ছবি যেমন চমৎকার, বিতর্কিত আর্ট ফিল্ম মায়া মেমসাবে অভিনয় করেন।
১৯৯৩ সালে বাজিগর ও ডর ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল খ্যাতি পান। ডর ছবিতে শাহরুখ একজন অপ্রকৃতস্থ প্রেমিক এর ভূমিকায় অভিনয় করেন, ছবিটি খুব সাফল্য লাভ করে এবং তিনি তারকা খ্যাতি পান। বাজিগর ছবির জন্য তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরষ্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি কভি হাঁ কভি না ছবিতে একজন ব্যর্থ যুবক ও প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেন যার কারনে তিনি সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালে তিনি আঞ্জাম ছবিতে অভিনয় করেন যেটি ব্যবসাসফল হয়নি। তবে সাইকোপ্যাথ হিসেবে তার অভিনয় সমাদৃত হয় এবং তিনি ১৯৯৫ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ ভিলেন পুরষ্কার লাভ করেন।
১৯৯৫ ছিল তার জন্য খুব সাফল্যের বছর। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙ্গে এবং এর সব কৃতিত্ব পান তিনি। ছবিটি ৫২০ সপ্তাহের বেশি প্রদর্শিত হয়। ভারতের সর্বাধিকবার প্রচারিত ছবি হিসেবে যাকে তুলনা করা যায় শোলের সাথে যা ২৬০ সপ্তাহ চলেছিল। ছবিটি বর্তমানে বারো বছর ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে এবং প্রায় ১২ বিলিয়ন রুপির চেয়েও বেশি অর্থ আয় করেছে।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গের পর তিনি বেশ কটি ছবিতে সাফল্য পান, যার অধিকাংশই ছিল প্রেম-কাহিনী। যশ চোপড়া এবং করন জোহরের সাথে মিলে তিনি বলিউডে সফলতা পেতে থাকেন। এসব চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ পরদেশ, দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মোহাব্বতে (২০০০), কভি খুশি কভি গম (২০০১), কাল হো না হো (২০০৩) এবং বীর-জারা(২০০৪)। এছাড়া অন্যান্য পরিচালক যেমন, আজিজ মির্জার ইয়েস বস (১৯৯৭), মনসুর খানের জোশ (২০০০) এবং সঞ্জয় লীলা বনসালির দেবদাস (২০০২) ব্যবসা সফল হয়।
আঞ্জাম (১৯৯৪), দিল সে (১৯৯৮), স্বদেশ (২০০৪) ও পহেলি (২০০৫) ছবির জন্য শাহ রুখ খান সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
২০০৬ সালে করন জোহরের কভি আলবিদা না কেহনা (২০০৬) ছবিটি ভারতে মোটামুটি ব্যবসা করলেও বিদেশে ব্যবসাসফল হয়। একই বছরে ডন ছবিতে অভিনয় করেন যেটিও ব্যবসাসফল হয়েছিল।
২০০৭ সালে শাহরুখের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল চাক দে ইন্ডিয়া। বাণিজ্য সফল এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য শাহরুখ সপ্তমবারের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। তাঁর অন্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ওম শান্তি ওম ২০০৭ সালের সবচেয়ে বাণিজ্য সফল ছবি।
২০০৮ সালে শাহরুখের রব নে বানা দি জোড়ি ছবিটি খুব ভাল ব্যবসা করে ।
বর্তমানে সারা বিশ্বে বলিউডের জনপ্রিয়তম ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে শাহরুখ খান অন্যতম। তাঁর অভিনীত হে রাম,দেবদাস এওং পহেলি ভারত থেকে অস্কার এ পাঠানো হয়েছিল। শাহরুখ-কাজল জুটি বলিউডের অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে স্বীকৃত। কাজলের সাথে তাঁর অভিনীত বাজীগর,দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, করন অর্জুন, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, কভি খুশি কভি গম। এই ৫টি ছবিই ব্যবসা-সফল হয়। ১৫ বছরের অভিনয়জীবনে তিনি ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয়দের কাতারে অমিতাভ বচ্চন-এর পরবর্তীস্থান এর শক্ত দাবিদার।
শাহরুখ খান এবং তার পরিবার
প্রযোজক
শাহরুখ খান বিভিন্ন ছবি প্রযোজনাতেও হাত দিয়েছেন। তবে এখানে তার সাফল্য মিশ্র প্রকৃতির। ১৯৯৯ সালে তিনি পরিচালক আজিজ মির্জা ও অভিনেত্রী জুহি চাওলার সাথে তিনি ড্রিমজ আনলিমিটেড নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুটি ছবি ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি (২০০০) এবং অশোকা (২০০১) ব্যবসাসফল হয়নি।
তার প্রযোজিত তৃতীয় ছবি চলতে চলতে (২০০৩) ব্যবসাসফল হয়, ২০০৪ সালে তিনি আরেকটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট নাম দিয়ে এবং এখান থেকে ম্যায় হুঁ না (২০০৪) চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন যা বলিউডে দারুন ব্যবসা করে। ২০০৫ সালে তিনি কল্পকাহিনী নিয়ে পহেলি চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন যা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারত থেকে মনোনয়ন পায়, তবে পুরষ্কার জিততে পারেনি। ভারতের চলচ্চিত্র জগতে পহেলি তেমন সফলতা পায়নি। একই বছর তিনি কাল নামে একটি চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন। এ ছবিতে তিনি অভিনয় না করলেও একটি গানের দৃশ্যে মালাইকা অরোরা খানের সাথে অভিনয় করেন। কাল মোটামুটি সফলতা পায়।
রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট থেকে নির্মিত পরের ছবি ওম শান্তি ওম ২০০৭ সালের সবথেকে সফল ছবি। এইছবিতে ৩০ জনের বেশি নামী অভিনেতা একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন।
টেলিভিশন উপস্থাপক
জনপ্রিয় ব্রিটিশ গেম শো হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নিয়ার? এর হিন্দি সংস্করন কৌন বনেগা ক্রোড়পতি এ তিনি সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি সাবেক উপস্থাপক অমিতাভ বচ্চনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন যিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ভারতের টেলিভিশনের ইতিহাসে এটি অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি সোমবার শাহরুখ খান কেবিসি এর তৃতীয় মরশুম শুরু করেন। এই মরশুম শেষ হয় ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিলে। ২৫ এপ্রিল ২০০৮ থেকে শাহরুখ আর ইউ স্মার্টার দ্যান আ ফিফথ গ্রেডার? এর হিন্দি সংস্করণ ক্যা আপ পাঁচবি পাস সে তেজ হ্যায়? এর সঞ্চালকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
ক্রিকেটে শাহরুখ (কলকাতা নাইট রাইডার্স)
শাহরুখ খান, তাঁর রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট এর মাধ্যমে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক। তিনি এবং তাঁর বন্ধু ও সহ-অভিনেত্রী জুহি চাওলার স্বামী জয় মেহতা এই দলটিকে কিনে নেন। প্রসংগত উল্লেখ্য যে শাহরুখ, কলকাতা ছাড়াও দিল্লী, মুম্বাই, চন্ডীগড় এবং জয়পুরের জন্য দরপত্র দিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক সম্মাননা
* ২০০৭ – ফরাসি সরকার কর্তৃক Ordre des Arts et des Lettres (শিল্পকলা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি) উপাধি লাভ
* ২০০৬ – দুবাইয়ের গভর্নর প্রদত্ত সম্মাননা
* ২০০৬ – মাদাম তুসোর মোমের জাদুঘরে স্থাপনা মুর্তি
ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার
* ২০০৮ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – চাক দে ইন্ডিয়া
* ২০০৪ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – স্বদেশ
* ২০০২ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – দেবদাস
* ২০০০ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, সমালোচকদের রায়ে – মোহাব্বতে
* ১৯৯৮ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – কুছ কুছ হোতা হ্যায়
* ১৯৯৭ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – দিল তো পাগল হ্যায়
* ১৯৯৫ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে
* ১৯৯৪ – শ্রেষ্ঠ ভিলেন – আঞ্জাম
* ১৯৯৩ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, সমালোচকদের রায়ে – কাভি হাঁ কাভি না
* ১৯৯৩ – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – বাজীগর
* ১৯৯২ – শ্রেষ্ঠ উদীয়মান অভিনেতা – দিওয়ানা
বিশেষ পুরষ্কার
* ২০০২ – ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরষ্কার সুইস কনস্যুলেট ট্রফি
* ২০০৩ – ফিল্মফেয়ার শক্তি পুরষ্কার (যৌথভাবে – অমিতাভ বচ্চনের সাথে)
* ২০০৪ – ফিল্মফেয়ার শক্তি পুরষ্কার
অন্যান্য চলচ্চিত্র পুরষ্কার
* স্টার স্ক্রীন অ্যাওয়ার্ডস – ৭
* ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস – ২
* জি সিনে পুরষ্কার – ৬
* বলিউড মুভি অ্যাওয়ার্ডস – ৪
* গ্লোবাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস – ২
* রুপা সিনেগোয়ার পুরষ্কার – ১০
* সানসুই ভিউয়ার’স চয়েস মুভি পুরষ্কার – ৬
* আফজা পুরষ্কার – ২
* আশীর্বাদ পুরষ্কার – ১
* ডিজনি কিডস চ্যানেল পুরষ্কার – ১
* এম.টি.ভি. পুরষ্কার – ১
* স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড পুরষ্কার – ১
* সাহারা ওয়ান সংগীত পুরষ্কার – ১ (আপুন বোলা গানের জন্য শ্রেষ্ঠ নায়ক ও গায়ক)
জাতীয় সম্মাননা
* ১৯৯৭ – শ্রেষ্ঠ ভারতীয় নাগরিক
* ২০০২ – রাজীব গান্ধী পুরষ্কার
* ২০০৫ – পদ্মশ্রী পুরষ্কার, ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ সরকারী সম্মান
* ২০০৭ – আওয়াদে আহমেদ ফারাহ
অন্যান্য
* ২০০১ – জেড ম্যাগাজিন (Jade Magazine) পুরষ্কার এশিয়ার সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী পুরুষ
* ২০০৪ – এশিয়ান গিল্ড (Asian Guild) পুরষ্কার বলিউডের যুগের শ্রেষ্ঠ তারকা
* ২০০৪ – পেপসি সবচেয়ে প্রিয় তারকা পুরষ্কার
* ২০০৪ – ‘এফ-পুরষ্কার’ ভারতীয় ফ্যাশন তারকা মডেল
* ২০০৪ – ছোট কা ফুন্ডা পুরষ্কার
* ২০০৪ – টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ
* ২০০৪ – সবচেয়ে তেজ বছরের শ্রেষ্ঠ পারসোনালিটি
* ২০০৪ – এম.এস.এন. বছরের শ্রেষ্ঠ সার্চ পারসোনালিটি পুরষ্কার
* ২০০৫ – ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ
* ২০০৬ – “হামীর-ই-হিন্দ” খেতাব, “দেশভক্ত” সংবাদপত্র থেকে
অভিনয়কৃত চরিত্রের নাম
তিনি সর্বাধিক রাহুল নামবিশিষ্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে কিছু অভিনীত চরিত্রের নাম ও সিনেমার নাম দেওয়া হল।
রাহুল – ডর, জামানা দিওয়ানা, ইয়েস বস, দিল তো পাগল হ্যায়, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, হর দিল যো পেয়ার করেগা, কাভি খুশি কাভি গাম
রাজ – দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, বাদশা, মোহাব্বতে, চলতে চলতে
বিজয় – আনজাম, করন অর্জুন, ডন
প্রযোজক
* ওম শান্তি ওম (২০০৭)
* মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ (২০০৭)
* কাল (২০০৫)
* পেহেলি (২০০৫)
* ম্যায় হু না (২০০৪)
* চলতে চলতে (২০০৩)
* আশোকা (২০০১)
* ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি (২০০০)
টিভি ক্যারিয়ার
* দিল দরিয়া (১৯৮৭)
* ফৌজী (১৯৮৮) – অভিমন্যু রাই
* সার্কাস (১৯৮৯)
* In Which Annie Gives It Those Ones (১৯৮৯)
* দুসরা কেওয়াল
* ইডিয়ট (১৯৯১) – পবন রঘুজান
* কারিনা কারিনা (২০০৪) – বিশেষ উপস্থিতি
* কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (২০০৭) – সঞ্চালক
* আন্তাক্ষরী দ্য গ্রেট চ্যালেঞ্জ (২০০৭) – বিশেষ অতিথি
* ক্যা আপ পাঁচবী পাস সে তেজ হ্যায়? (২০০৮) – সঞ্চালক
No comments:
Post a Comment