CRICKET LIVE STREAMING

Friday, August 13, 2010

বেকহাম-অধ্যায়ের এখানেই সমাপ্তি?


১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মালদোভার বিপক্ষে অভিষেক। গত ১৪ বছরে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার পেরিয়ে এসে সেটি অপ্রত্যাশিত সমাপ্তির পথে। অপ্রত্যাশিতই, কারণ ডেভিড বেকহাম না চাইলেও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে চিরবিদায় নিতে হচ্ছে। ইংল্যান্ড কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলো জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে গেল বেকহামের জন্য।
ক্যাপেলো এই বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটিয়েছেন পরশু হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে। আইটিভি স্পোর্ট নামের টিভি চ্যালেনকে বলেছেন, তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ‘বুড়ো’ বেকহামের জায়গা নেই। ইংলিশ ফুটবলে বেকহামের অবদানকে সবাই যেন সম্মান জানিয়ে বিদায়ী অভিবাদন জানাতে পারে, এ জন্য এ বছরের শেষ দিকে ওয়েম্বলির কোনো একটা প্রীতি ম্যাচে বেকহামকে দলে রাখবেন বলে জানিয়েছেন ক্যাপেলো। ওই ম্যাচটাই হবে তাঁর বিদায় সংবর্ধনা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বেকহাম জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই অবসর ঘোষণার কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই। এএফপি, রয়টার্স।
গত বিশ্বকাপে না খেললেও বেকহাম কোচিং স্টাফের একজন হয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ‘ওকে আমি বিশ্বকাপে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। কিন্তু ও সম্ভবত একটু বুড়োই হয়ে গেছে। আমি মনে করি, ডেভিড নিজেও জানে জাতীয় দলে ওর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কারণ আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। আমাকে সবকিছু পাল্টে ফেলতেই হবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার নতুন নতুন খেলোয়াড় দরকার’—বেকহামের জন্য দুঃসংবাদটা এভাবেই দিয়েছেন এই ইতালিয়ান।
কোচ জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের আগে তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বেকহামকে জানাতে চেয়েছিলেন তাঁর পরিকল্পনার কথা, ‘আমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওকে পাইনি। নিশ্চয়ই কেউ না-কেউ ওকে ফোন করবে। আমিও পরে ওর সঙ্গে কথা বলব।’
আগামী বিশ্বকাপে বেকহামের বয়স হয়ে যাবে ৩৯ বছর। বাস্তববাদী হলে বেকহামের নিজেরই আগামী বিশ্বকাপে খেলার আশা করার কথা নয়। তবে তিনি খেলতে চেয়েছিলেন ২০১২ ইউরো। আগামী মাস থেকে শুরু ইউরোর বাছাইপর্বে খেলার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছিলেন। বেকহামের সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। আউটফিল্ড খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তাঁর। আর ১১টি ম্যাচ খেলতে পারলে সাবেক গোলরক্ষক পিটার শিলটনের ১২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটাও ভেঙে দিতে পারতেন। বেকহামের সেই ইচ্ছাও পূরণ হচ্ছে না।
বিষয়টির সঙ্গে গভীর আবেগ জড়িত। ক্যাপেলোও সেটি বোঝেন। কিন্তু বাস্তবতার কাছে, পেশাদারির কাছে আবেগের যে মূল্য নেই। তাই ‘ডেভিড দুর্দান্ত খেলোয়াড়। ও খুব গুরুত্বপূর্ণও’ ক্যাপেলোর এই মন্তব্য অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে পরের বাক্যেই, ‘ভবিষ্যতের জন্য নতুন খেলোয়াড়দের ওপর চোখ রাখতেই হবে। বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের জন্যই আমাদের কিছু নতুন খেলোয়াড় দরকার।’
ওয়েম্বলিতে বিদায়ী ম্যাচ খেলার প্রস্তাব বেকহাম গ্রহণ করবেন কিনা কে জানে। তবে পরশুই লস অ্যাঞ্জেলেসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি, আমি অবসর নেব না। আমাকে দলে নেওয়া হোক আর না হোক, আমি আরও দশটা ম্যাচ খেলতে পারি আর না-ই পারি। হ্যাঁ, তরুণ অনেক খেলোয়াড় উঠে আসছে। দেখা যাক কী হয়।’
বেকহাম স্থায়ী ছুটিতে যেতে নারাজ হলেও ধরেই নেওয়া হয়েছে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ। ইংলিশ অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড যেমন এরই মধ্যে বিদায়ী বার্তাও দিয়ে দিয়েছেন, ‘দেশকে ও যা দিয়েছে, এর জন্য ডেভিড অবশ্যই গর্ব করবে। আমি নিশ্চিত, সমর্থকেরাও ওকে একজন কিংবদন্তি হিসেবেই স্মরণ করবে।’ web site

No comments:

Post a Comment

kazi-music