
ব্যাট হাতে এক জীবনে যা কিছু করা সম্ভব, খুব বেশি কিছু বাদ রাখেননি শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেটের ব্যাটিং রেকর্ডের প্রায় সবই তাঁর দখলে। এখন শুধু নিশ্চিত করছেন রেকর্ডগুলোর অমরত্ব। তার পরও একটা আক্ষেপ তাঁর না থেকে পারেই না, টেস্টে একটা ট্রিপল সেঞ্চুরি যে করা হলো না!
কলম্বো টেস্টে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরির পর স্তুতি যতটা না হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে আক্ষেপ। টেন্ডুলকারের গ্রেটনেস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, কখনো উঠবেও না। কিন্তু টেস্টে কখনো তিন শ করতে পারেননি, এটাও কখনো কখনো শুনতে হবে তাঁকে। আক্ষেপ যে কিছুটা আছে, তা লুকাননি টেন্ডুলকার। তবে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, এ জন্য বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন না তিনি, ‘লোকে রেকর্ড মনে রাখে, আমি রাখি না। যখন এটা (ট্রিপল সেঞ্চুরি) হওয়ার, তখন হবে। দেরি হলে হবে। আমি চেষ্টা করেই যাব, তবে এটাই আমার কাছে পৃথিবীর সবকিছু নয়। ক্রিকেটে ভাবার আরও অনেক কিছুই আছে। রেকর্ডটাই সবকিছু নয়।’
এই ‘আক্ষেপ’ নিয়ে এত আলোচনাও হয়তো তাঁর গ্রেটনেসের আরেকটা দৃষ্টান্ত। নিজেকে টেন্ডুলকার এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, ডাবল সেঞ্চুরির পরও আলোচনায় হয় অপ্রাপ্তি নিয়ে! ৩৭ বছর বয়সেও যেভাবে রানক্ষুধা বেড়েই চলেছে, তাতে সবাই বিস্মিত হলেও টেন্ডুলকার খুব নির্লিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ক্রিকেট তাঁর কাছে উপভোগের অন্য নাম, সেটিই করছেন লিটল মাস্টার, ‘আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। রান গোনার অভ্যাস আমার নেই। এভাবে নিয়মিত রান করে যাওয়াটা দারুণ। অতীতের মতোই উইকেটে থাকার মুহূর্তগুলো আমি উপভোগ করে যাচ্ছি। এটা অসাধারণ।’
কিন্তু ১৬ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরুর সেই সময়টার তুলনায় কিছুই কি বদলায়নি? শুনুন টেন্ডুলকারের মুখেই, ‘খুব বেশি কিছু পরিবর্তন হয়নি। তবে চিন্তার পরিবর্তন কিছু আসবেই। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, জীবনেও। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরনটা বদলে যাওয়া, ক্রিকেট সম্পর্কে আরেকটু জানা। শেখার প্রক্রিয়াটা কখনোই শেষ হয় না, প্রতিদিনই কিছু না-কিছু শেখার আছে।’
সবচেয়ে বেশি শেখার সুযোগ অবশ্য টেন্ডুলকারের অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানের। টেস্ট অভিষেকেই যে সুযোগটা পেলেন সুরেশ রায়না। অনুমিতভাবেই অভিষেক ইনিংসেই সেঞ্চুরির পর টেন্ডুলকারের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। রায়নার আগে ভারতের পক্ষে অভিষেকে সেঞ্চুরিয়ান শেবাগেরও আনন্দের সঙ্গী ছিলেন টেন্ডুলকার। টেন্ডুলকারের মতো কারও সঙ্গে ব্যাটিং করাটা নতুন কারও জন্য যেখানে বাড়তি স্নায়ুচাপ হয়ে যাওয়ার কথা, উল্টো কীভাবে তাঁরা এমন স্বচ্ছন্দ হয়ে যান? টেন্ডুলকারই জানাচ্ছেন এই প্রশ্নের উত্তর, ‘অভিষিক্তের সঙ্গে খেলার সময় সবচেয়ে জরুরি হলো তাকে উইকেটে সহজবোধ করানো এবং তার মানসিকতাটা বোঝা। ৯৮ ওয়ানডে খেলে আসাটা অবশ্য রায়নাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমি ওর সঙ্গে আগে খেলেছি বলেই জানতাম ওর কাছে কী আশা করা যায়। রায়না ভালো করায় আমি খুব খুশি হয়েছি, অনেকেই ওর টেস্ট খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ও যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা দেখে খুব ভালো লেগেছে।’
২২ গজ দূর থেকে শচীন টেন্ডুলকারের আরেকটি ব্যাটিং মাস্টার ক্লাস দেখার সুযোগ পেয়ে সুরেশ রায়নার যে আরও ভালো লেগেছে, সেটি তো বলাই বাহুল্য। ওয়েবসাইট।
কলম্বো টেস্টে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরির পর স্তুতি যতটা না হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে আক্ষেপ। টেন্ডুলকারের গ্রেটনেস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, কখনো উঠবেও না। কিন্তু টেস্টে কখনো তিন শ করতে পারেননি, এটাও কখনো কখনো শুনতে হবে তাঁকে। আক্ষেপ যে কিছুটা আছে, তা লুকাননি টেন্ডুলকার। তবে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, এ জন্য বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন না তিনি, ‘লোকে রেকর্ড মনে রাখে, আমি রাখি না। যখন এটা (ট্রিপল সেঞ্চুরি) হওয়ার, তখন হবে। দেরি হলে হবে। আমি চেষ্টা করেই যাব, তবে এটাই আমার কাছে পৃথিবীর সবকিছু নয়। ক্রিকেটে ভাবার আরও অনেক কিছুই আছে। রেকর্ডটাই সবকিছু নয়।’
এই ‘আক্ষেপ’ নিয়ে এত আলোচনাও হয়তো তাঁর গ্রেটনেসের আরেকটা দৃষ্টান্ত। নিজেকে টেন্ডুলকার এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, ডাবল সেঞ্চুরির পরও আলোচনায় হয় অপ্রাপ্তি নিয়ে! ৩৭ বছর বয়সেও যেভাবে রানক্ষুধা বেড়েই চলেছে, তাতে সবাই বিস্মিত হলেও টেন্ডুলকার খুব নির্লিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ক্রিকেট তাঁর কাছে উপভোগের অন্য নাম, সেটিই করছেন লিটল মাস্টার, ‘আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। রান গোনার অভ্যাস আমার নেই। এভাবে নিয়মিত রান করে যাওয়াটা দারুণ। অতীতের মতোই উইকেটে থাকার মুহূর্তগুলো আমি উপভোগ করে যাচ্ছি। এটা অসাধারণ।’
কিন্তু ১৬ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরুর সেই সময়টার তুলনায় কিছুই কি বদলায়নি? শুনুন টেন্ডুলকারের মুখেই, ‘খুব বেশি কিছু পরিবর্তন হয়নি। তবে চিন্তার পরিবর্তন কিছু আসবেই। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, জীবনেও। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরনটা বদলে যাওয়া, ক্রিকেট সম্পর্কে আরেকটু জানা। শেখার প্রক্রিয়াটা কখনোই শেষ হয় না, প্রতিদিনই কিছু না-কিছু শেখার আছে।’
সবচেয়ে বেশি শেখার সুযোগ অবশ্য টেন্ডুলকারের অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানের। টেস্ট অভিষেকেই যে সুযোগটা পেলেন সুরেশ রায়না। অনুমিতভাবেই অভিষেক ইনিংসেই সেঞ্চুরির পর টেন্ডুলকারের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। রায়নার আগে ভারতের পক্ষে অভিষেকে সেঞ্চুরিয়ান শেবাগেরও আনন্দের সঙ্গী ছিলেন টেন্ডুলকার। টেন্ডুলকারের মতো কারও সঙ্গে ব্যাটিং করাটা নতুন কারও জন্য যেখানে বাড়তি স্নায়ুচাপ হয়ে যাওয়ার কথা, উল্টো কীভাবে তাঁরা এমন স্বচ্ছন্দ হয়ে যান? টেন্ডুলকারই জানাচ্ছেন এই প্রশ্নের উত্তর, ‘অভিষিক্তের সঙ্গে খেলার সময় সবচেয়ে জরুরি হলো তাকে উইকেটে সহজবোধ করানো এবং তার মানসিকতাটা বোঝা। ৯৮ ওয়ানডে খেলে আসাটা অবশ্য রায়নাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমি ওর সঙ্গে আগে খেলেছি বলেই জানতাম ওর কাছে কী আশা করা যায়। রায়না ভালো করায় আমি খুব খুশি হয়েছি, অনেকেই ওর টেস্ট খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ও যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা দেখে খুব ভালো লেগেছে।’
২২ গজ দূর থেকে শচীন টেন্ডুলকারের আরেকটি ব্যাটিং মাস্টার ক্লাস দেখার সুযোগ পেয়ে সুরেশ রায়নার যে আরও ভালো লেগেছে, সেটি তো বলাই বাহুল্য। ওয়েবসাইট।
No comments:
Post a Comment