CRICKET LIVE STREAMING

Tuesday, February 8, 2011

নকলের কারখানা বলিউড

নকলবাজির অভিযোগে ঢাকাই ছবির নির্মাতাদের যখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা, তখন বিন
কুচ কুচ হোতা হ্যায় : ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় নোরা অ্যাফরন পরিচালিত ‘স্লিপলেস ইন সিয়াটল’। টম হ্যাঙ্কস ও মেগ রায়ান অভিনীত এ ছবিতে দেখা যায়, নিঃসঙ্গ বাবার জীবনে আবার প্রেম ফিরিয়ে আনতে একটি লাইভ রেডিও অনুষ্ঠানের সাহায্য নেয় ১২ বছরের এক বালক। এ ছবির প্লটটি কপি করেই ‘নিজের কাহিনী’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করন জোহর নির্মাণ করেন ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’। তবে কখনোই কপির বিষয়টি স্বীকার করানো য়ায়নি করন জোহরের মুখ থেকে। দুটি ছবির প্লটের মিলকে তিনি বরাবর আশ্চর্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।
বাজিগর : ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয় ইরা লেভিনের উপন্যাস ‘অ্যা কিস বিফোর ডায়িং’। বেস্ট সেলার এ উপন্যাস অবলম্বনে প্রথমে ১৯৫৬ সালে ও পরে ১৯৯১ সালে দুটি ছবি নির্মিত হয়। দুটি ছবিতেই লেখক হিসেবে ইরা লেভিনের কৃতিত্ব দেয়া হয়। যুগল পরিচালক আব্বাস-মাস্তান ১৯৯৩ সালে নির্মাণ করেন ‘বাজিগর’। ছবির কাহিনীকার রবিন ভাট। ছবির বেশ কিছু দৃশ্য ১৯৯১ সালে নির্মিত ‘অ্যা কিস বিফোর ডায়িং’-এর সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। তারপরও রিমেকের কথা এড়িয়ে গেছেন পরিচালক জুটি। কাহিনীকারও নতিস্বীকার করেননি। এ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন শাহরুখ খান।
মার্ডার : ২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘আনফেইথফুল’। রিচার্ড গিয়ার ও ডায়ান লেইন অভিনীত এ ছবির কাহিনী প্রায় হুবহু মেরে দিয়ে ‘মার্ডার’-এর চিত্রনাট্য রচিত। মহেশ ভাটের কাহিনী থেকে ২০০৪ সালে পরিচালক অনুরাগ বসু নির্মাণ করেন ‘মার্ডার’। মল্লিকা শেরাওয়াত, ইমরান হাশমি ও আশমিত পাটেল অভিনয় করেন এতে। মূল ছবিতে ডায়ান লেইনের সঙ্গে প্রেম হয় একেবারে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে। আর হিন্দি ছবিতে পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে। ‘মার্ডার’ এর শেষাংশ মূল ছবি থেকে পরিবর্তন করে গতানুগতিক ভারতীয় ছবির আদলে এন্ড ক্লাইমেক্স রাখা হয়েছে। দুটি ছবির পার্থক্য শুধু এ দুটি জায়গায়।
কাঁটে : ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় কোয়ান্টিন টারান্টিনো পরিচালিত ‘রিজার্ভার ডগস’। এক হীরার দোকান লুট করতে একজোট হয় ছয় অপরাধী। ডাকাতির পর পালিয়ে এসে প্রত্যেকেই একে অন্যকে সন্দেহ শুরু করে। এমনই কাহিনী নয়ে ২০০২ সালে সঞ্জয়গুপ্ত নিজের লেখায় নির্মাণ করেন ‘কাঁটে’। অমিতাভ বচ্চন, সঞ্জয় দত্ত, মহেশ মাঞ্জরেকার, লাকি আলী, সুনীল শেঠি ও কুমার গৌরব অভিনয় করেন এতে। কাহিনী থেকে শুরু করে ‘কাঁটে’র ক্লাইমেক্স অর্থাত্ শেষ আধা ঘণ্টা একেবারে ‘রিজার্ভার ডগস’-এর কপি।
রক্ত : ২০০০ সালে মুক্তি পায় ‘দ্য গিফট’। স্যাম রেমি পরিচালিত ছবি এটি। ছোট এক শহরে সন্তান নিয়ে বাস করে বিধবা কেট ব্লানচেট। কেট ভবিষ্যত্ দেখতে পায় এবং কার্ড রিডিং করে। সেই শহরে হঠাত্ করেই নিখোঁজ হয় এক তরুণী। এমন প্লটের ‘গিফট’কে প্রায় হুবহু কপি করে ‘রক্ত’ নির্মাণ করেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। ২০০৪ সালে মুিক্ত পায় ছবিটি। সঞ্জয় দত্ত, সুনীল শেঠি, বিপাশা বসু অভিনীত ছবিটি রিলিজের আগে ও পরে রিমেক কিংবা ‘অনুপ্রাণিত’ হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলেও নীরব থাকেন সঞ্জয়।
দ্য ট্রেইন : ২০০৫ সালে মুক্তি পায় ক্লাইভ ওয়েন, জেনিফার অ্যানিস্টন ও ভিনসেন্ট ক্যাসল অভিনীত ‘ডিরেইল্ড’। এর পরিচালক ছিলেন মাইকেল। ট্রেনে এক অপরিচিত নারীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় এক বিজ্ঞাপন নির্মাতার। পরে তার ধর্ষণের জন্য নিজেকে দায়ী মনে করেন ওই বিজ্ঞাপন নির্মাতা। ২০০৭ সালে হাসনাইন হায়দারবাদওয়ালা ও রক্ষা মিস্ত্রির যৌথ পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘দ্য ট্রেইন’। এতে অভিনয় করেন ইমরান হাশমি, সায়ালি ভগত ও গিতা বসরা। ‘ডিরেইল্ড’ কপি করেই নির্মাণ করা হয়েছে ‘দ্য ট্রেইন’ ।
জিন্দা : পার্ক চ্যান-উ পরিচালিত ‘ওল্ড বয়’ মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। ২০০৬ সালে নির্মিত হয় ‘জিন্দা’। ‘ওল্ড বয়’ ছবির কাহিনী চুরি করেই নির্মিত হয়েছে ‘জিন্দা’। সঞ্জয় দত্ত, জন আব্রাহাম ও লারা দত্ত অভিনীত ছবিটি পরিচালনা করেন সঞ্জয় গুপ্ত। ছবিটি মুক্তির পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘শো ইস্ট’ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে দেয়। ‘ওল্ড বয়’ ছবিটির সঙ্গে ‘জিন্দা’র ব্যাপক মিল রয়েছে বলে ‘শো ইস্ট’ জানায়। তারা দাবি করে, বেশ কিছু দৃশ্য একেবারে এক। এ নিয়ে দুই প্রযোজনা সংস্থার আইনজীবীরাও মিলিত হন। গুজব রটে জিন্দার নির্মাতাদের পক্ষ থেকে আপস করা হয় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে।
বিচ্ছু : ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় ফরাসি ছবি ‘লিও’। আত্মভোলা নিঃসঙ্গ এক ভাড়াটে খুনির ১২ বছরের ছোট এক মেয়েকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার গল্প নিয়ে লুক বেসোঁ পরিচালিত ছবিটি ইংরেজি ভাষায় মুক্তি পায় ‘দ্য প্রফেশনাল’ নামে। জ্য রেনো এবং নাটালি পোর্টম্যান অভিনীত ‘লিও’ ছবিটির ফ্রেম টু ফ্রেম কপি করে গুড্ডু ধানোয়া পরিচালিত ‘বিচ্ছু’ নির্মিত হয়। ২০০০ সালে মুক্তি পায় ‘বিচ্ছু’। এর শেষ অ্যাকশন দৃশ্যটি একেবারে হুবহু কপি করা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন ববি দেওল, রানি মুখার্জি ও আশীষ বিদ্যার্থী। ছবির কাহিনী লিখেছেন টিনু ভার্মা।
পেয়ার তো হোনা হি থা : ১৯৯৫ সালে লরেন্স কাসডান পরিচালিত ‘ফ্রেঞ্চ কিস’ মুক্তি পায়। আর আনিস বাজমির পরিচালনায় ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ‘পেয়ার তো হোনা হি থা’। এ ছবির কাহিনীতে প্যারিসে চাচার সঙ্গে থাকে কাজল। প্রেমিককে ফিরিয়ে আনতে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয় কাজল। প্রথম অবস্থায় আনিস দুটি ছবির মধ্যে আশ্চর্য মিল কাকতালীয় বললেও পরে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, তিনি ‘ফ্রেঞ্চ কিস’ থেকে ‘অনুপ্রাণিত’। বেশ কিছু দৃশ্য ফ্রেম টু ফ্রেম কপি। বিশেষ করে প্লেনে ওঠার পর কাজলের ভয় পাওয়া, প্রার্থনা করা একেবারে সরাসরি কপি করা হয়েছে।
এক আজনবি : ২০০৪ সালে টনি স্কট নির্মাণ করেন ‘ম্যান অন ফায়ার’। পরের বছরই অপূর্ব লাখিয়া নির্মাণ করেন ‘এক আজনবি’। টনি স্কট যদিও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ‘ম্যান অন ফায়ার’ উপন্যাসটি অবলম্বনে নির্মিত কথাটি উল্লেখ করেন, কিন্তু অপূর্ব এমন কিছুই স্বীকার করেননি। মূল উপন্যাসের অনেক কিছুই ছবির প্রয়োজনে পরিবর্তন করেছিলেন টনি। অপূর্ব শুধু স্থানটিকেই পরিবর্তন করে থাইল্যান্ড করেছেন। বাকি সব একেবারে হুবহু কপি করে গেছেন। অপহরণের দৃশ্য, টাকা দেয়ার দৃশ্য, ভিলেনের চুরুট খাওয়ার দৃশ্য এমনকি অ্যাকশন দৃশ্যগুলোয়ও মিল খুঁজে পাওয়া গেছে।

নকলের ফিরিস্তি
বলিউড হলিউড

পাপ উইটনেস
জেহের আউট অব টাইম
হেই বেবি থ্রি ম্যান এন্ড এ বেবি
রোড দ্য হিচার
ধামাল রেটরেস
ব্ল্যাক দ্য মিরাকল ওয়ার্কার
মার্ডার আনফেইথফুল
দিওয়ানা হুয়ে পাগল দেয়ার ইজ সামথিং এবাউট মেরি
আপকি খাতির দ্য ওয়েডিং ডেট
ম্যায় হু না নেভার বিন কিসড
ফির হেরা ফেরি লক, স্টক এন্ড টু ব্যারেলস
টেক্সি ৯২১১ চেঞ্জিং লেন্স
বাচকে রেহনারে বাবা হার্টব্রেকারস
ক্যায়া কুল হ্যায় হাম দ্য মন্সটার
ম্যায় পেয়ার কিউ কিয়া ক্যাকটাস ফ্লাওয়ার
অ্যাইতবার ফেয়ার
মুন্নাভাই প্যাচএডামস
গজিনী মেমেন্টো
গড তুসি গ্রেট হো ব্রুস অলমাইটি
কাহি পেয়ার না হো যায় দ্য ওয়েডিং সিংগার
লাইফ ইন এ মেট্রো দ্য অ্যাপার্টমেন্ট
ইউ মি অউর হাম দ্য নোটবুক
লাভ স্টোরি দ্য টাইম মেশিন
ওমকারা ওথেলো
এইতরাজ ডিসক্লোজার
এক হাসিনা থি ডাবল জিওপার্ডি
মুসাফির ইউটার্ন
মুঝসে শাদি কারোগি অ্যাংগার ম্যানেজমেন্ট
চাক দে ইন্ডিয়া মিরাকল অন আইস
জাব উই মেট এ ওয়াক অন দ্য ক্লাউডস
রেস ব্যাড লাভারস
ফারেব আনলফুল এন্ট্রি
পার্টনার হিচ
জিসম বডি হিট
৩৬ চায়না টাউন ওয়ান্স আপন এ টাইম
দোস্তানা আই নাউ প্রনাউন্স ইউ চাক এন্ড লেরি
মাদহোশি বিউটিফুল মাইন্ড
ফুল এন ফাইনাল স্ন্যাচ
ওয়েলকাম মাইক ব্লু আইস
সালাম-এ-ইশক লাভ একচুয়ালি
কাভি আলবিদা না কেহনা ক্লোজার
ফুটপাথ স্টেট অব গ্রেস
ছায়া ড্রাগনফ্লাই
প্ল্যান সুইসাড কিংস
ফির মিলেঙ্গে ফিলাডেলফিয়া
গরম মসলা বিয়িং বোয়িং
ন্যায়না দ্য আই
হামকো দিওয়ানা কারগায়ে নটিং হিল
বাস এক পাল কারনে প্রিমুলা
নিঃশব্দ ললিতা
মনোরমা সিক্স ফিট আন্ডার চায়না টাউন
যুবরাজ রেইনম্যান
দিল বোলে হাড়িপ্পা শি ইজ দ্য ম্যান
নাকাব ডু দ্য আই
নকশা দ্য রানডাউন
স্পিড সেলুলার
সূর্য এ ফিউ গুড ম্যান
সিং ইজ কিং মিরাকলস
আওয়ারাপান এ বিটারসউইট লাইফ
আগলি অউর পাগলি মাই স্যাসি গার্ল
ইয়ে ক্যায়া হো রাহা হে আমেরিকান পাই


কাট কপি পেস্ট
বলিউড হলিউড নকলের ধরন

ক্রিশ পে-চেক প্লট, সিন, সেটআপ
তথাস্তু জন কিউ হুবহু কপি
রং দে বাসন্তি অল মাই সন্স শুধু প্লট
জিন্দা ওল্ডবয় হুবহু কপি
এক আজনবি ম্যান অন ফায়ার সিন টু সিন রিমেক
চকোলেট দ্য উজুয়াল সাসপেক্টস সিন টু সিন রিমেক
সালাম নমস্তে নাইন মান্থস শুধু প্লট
ম্যায় অ্যায়সা হি হু আই এম স্যাম রিমেক
কিউ কি... ওয়ান ফ্লিউ ওভার কুক্কুস নেস্ট প্লট
ধুম দ্য ফাস্ট এন্ড দ্য ফিউরিয়াস ও ওশান্স লিভ কনসেপ্ট, সিন, প্লট, সেটআপ
হামতুম হোয়েন হ্যারি মেট শেলি কনসেপ্ট, প্লট
টারজান দ্য ওয়ান্ডার কার ক্রিশ্চিয়ান কনসেপ্ট, প্লট
কায়ামত সিটি আন্ডার থ্রেট দ্য রক রিমেক
কোই মিল গায়া ইটি ও ফরেস্ট গাম্প কনসেপ্ট, স্টোরি লাইন, প্লট
কুচ তো হ্যায় আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার কনসেপ্ট, স্টোরি লাইন
চোর মাচায়ে শোর ব্লু স্ট্রিক রিমেক
আওয়ারা পাগল দিওয়ানা দ্য হোল নাইন ইয়ার্ডস প্লট
দিওয়ানগি প্রাইমাল ফেয়ার প্লট, আংশিক কাহিনী
কাটে রিজারভিওর ডগস রিমেক
রাজ হোয়াট লাইস বিনিথ রিমেক
নকশা দ্য রানডাউন প্লট, স্টোরি লাইন
দ্য কিলার কোলাটেরাল প্লট, স্টোরি লাইন

No comments:

Post a Comment

kazi-music