বাংলা চলচ্চিত্র কি মরে যাচ্ছে? বাংলা ছোটগল্প নিয়ে এ রকমই একটি প্রশ্ন তোলা হয়েছিল কয়েক দশক আগে। সে ছিল ছোটগল্পের দুর্দিন। কিন্তু আমরা দেখেছি, ছোটগল্প মরেনি। পত্রপত্রিকা, ছোট কাগজসহ নানা জায়গায় ছাপা হচ্ছে ছোটগল্প, প্রকাশিত হচ্ছে বই। কিন্তু চলচ্চিত্র সেভাবেই টিকে থাকবে কি না, সে প্রশ্নটি এখন সবার মনে। প্রশ্নটি সহজ, কিন্তু উত্তর সহজ নয়, বরং চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট লোকজন যে ছবিটি তুলে ধরছেন চোখের সামনে, তাতে হতাশাই রয়েছে কেবল।
আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প দিনকে দিন রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হচ্ছে। মানসম্মত প্রেক্ষাগৃহের অভাব, সিনেমা হলবিমুখ দর্শক, বিনিয়োগে অনীহা, শিল্পী সংকট, মেধাসম্পন্ন নির্মাতার অভাব, কারিগরি সুবিধার অভাব এবং আধুনিক প্রযুক্তির কারণে ঘরে বসে ভিনদেশি চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ ও আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই তো কয়েক বছর আগেও এই শিল্পে বছরে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতো, এখন তা কমতে কমতে অর্ধেকে নেমে এসেছে। চলচ্চিত্রশিল্পের এই দুর্যোগের মুহূর্তে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিডিও পাইরেসি। ফলে অনেক প্রযোজকই চলচ্চিত্রশিল্প ছেড়ে গেছেন।
প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি গাজী মাজহারুল বলছিলেন, ‘নৈরাশ্যের মধ্যেই আমরা নিমজ্জিত। শিল্প হিসেবে আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি কাগজে কলমে, কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। সব শিল্পেই ব্যাংকঋণ পাওয়া যায়, এই শিল্পে সেই সুবিধাটাও নেই। আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে হিন্দি ছবির সঙ্গে। দর্শকের রুচি এখন বলিউডের ছবি। কিন্তু সে ধরনের ছবি বানাতে প্রয়োজন অনেক টাকা, উন্নত মানের কারিগরি সুবিধা, সরকারের সহযোগিতা, ভালো গল্প, মেধাবী পরিচালক। এসবের কোনোটিই আমাদের নেই।
নির্মাণ ও মুক্তির সংখ্যা কমেছে
বছর তিনেক আগেও চলচ্চিত্রশিল্পের দৃশ্যপট ছিল ভিন্ন। গোলাপী এখন বিলেতে ছবির শুটিং করতে ঢাকায় এসে বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি যখন শুনতে পেলাম, এখানে নাকি বছরে গড়ে ৯০ থেকে ১০০টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়, তখন সত্যিই অবাক হয়েছি। এত ছবি মুক্তি পাওয়া মানে, এই শিল্প এখানে অনেক বেশি শক্তিশালী।’ মিঠুন চক্রবর্তীর এই উক্তি আজ শুধুই স্মৃতি। আজকের বাস্তবতা একবারেই উল্টো। ছবি মুক্তির হার কমে গেছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এ বছরে ছবি মুক্তি পায় মাত্র ৪৯টি (একটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায়)। আর ডিজিটাল চলচ্চিত্র মিলিয়ে ছবির সংখ্যা ৫২টি। যেগুলো দু-একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। অর্থাৎ, ২০১০ সালে প্রতি মাসে মুক্তি পেয়েছে এক অথবা দুটি ছবি। কোনো কোনো মাসে নতুন ছবি মুক্তিই পায়নি।
ছবির সংখ্যা কমে যাচ্ছে, ফলে বেশির ভাগ নির্মাতা এখন বেকার। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন ভিন্ন পেশায়। বন্ধ হচ্ছে একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ। ২০০০ সালেও বাংলাদেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ছিল এক হাজারটির মতো। গত কয়েক বছরে তা কমতে কমতে এখন চালু রয়েছে ৭০০ প্রেক্ষাগৃহ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, এখন ভালো ছবির সংকট রয়েছে, তেমনি স্যাটেলাইট চ্যানেলে বাংলা ও বিদেশি ছবি প্রদর্শনের জন্য দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসছে না। আবার এখন মানুষ ভালো মানের ছবি ডিভিডিতেই অহরহ দেখছে। তাহলে টিকিট কেটে কেন মানুষ আসবে প্রেক্ষাগৃহে? ভবিষ্যতে প্রেক্ষাগৃহ কীভাবে বাঁচবে, তা আমরা জানি না।’
ঢাকা শহরে একসময় মোট ৪৪টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। এখন চালু আছে ৩২টি। চট্টগ্রামে ছিল ১৯টি। এখন চালু রয়েছে পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহ। রাজশাহীর পাঁচটির মধ্যে চালু রয়েছে সবেধন নীলমণি একটি প্রেক্ষাগৃহ। সিলেটে সাতটির মধ্যে এখন আছে পাঁচটি। বরিশালে ছিল চারটি, এখন আছে তিনটি প্রেক্ষাগৃহ। মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে আনতে হলে ভালো সিনেমার পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় আধুনিক প্রেক্ষাগৃহের প্রয়োজন। কিন্তু আধুনিক প্রেক্ষাগৃহের জন্য যে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, সেই টাকার জোগান কে দেবে? কোনো প্রেক্ষাগৃহের মালিক আসলে টাকা বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়েও অনেক প্রেক্ষাগৃহ মালিক পুরোনো ছবি দু-তিনবার করে প্রদর্শন করেছেন। তবুও তাঁদের খরা কাটেনি। আসছে বছরের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
এ বছর তবুও ৫০টির মতো ছবি নির্মিত হয়েছে, আগামী বছরে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। গত শনিবার চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে গিয়ে জানা গেল, মোট আটটি ছবি মুক্তির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন সংশ্লিষ্ট ছবিগুলোর প্রযোজকেরা। আর বাকি সপ্তাহগুলোতে কী হবে, তা কেউই বলতে পারেননি।
বেশ কয়েক বছর আগে অভিনয়শিল্পী ববিতা সেন্সর বোর্ডের সদস্য হওয়ার পর বলেছিলেন, ‘ছবি দেখতে দেখতে আর নিজের কোনো কাজ করার সময় পাই না।’
এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সেন্সর বোর্ডের বর্তমান সদস্য আকন্দ সানোয়ার মোর্শেদ জানালেন, ‘সপ্তাহে এখন একটি ছবি দেখা যায়। আবার কোনো সপ্তাহে একটি ছবিও জমা পড়ে না। এভাবে কদিন এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে, তা বলা খুবই কঠিন।’
গত রোববার সেন্সর বোর্ডে যোগাযোগ করে জানা গেল, মাত্র দুটি ছবি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে। এই দুটি ছবি দেখা হলে চলতি মাসে আর কোনো ছবি সেন্সর বোর্ডে থাকবে না।
মেধাবী নির্মাতার সংকট
প্রযোজক জাহাঙ্গীর খান সম্প্রতি চলচ্চিত্রের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বললেন, ‘ছবি তো বানাতে চাই, কিন্তু কাকে নিয়ে, কীভাবে ছবি বানাব?’
চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের মতে, ‘নির্মাতা আছে, কিন্তু আমরা নতুন কিছু হয়তো করতে পারছি না। আমরা ফর্মুলার মধ্যেই আটকে আছি। আজকে বিশ্বায়নের যুগে শুধু নাচ-গান আর মারামারির ছবির মধ্যে আটকে থাকলে হবে না। আমাদের এখন গল্পের দিকে নজর দিতে হবে। প্রযোজককেও সহযোগিতা করতে হবে। এখানে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। ভালো নির্মাতা নেই বলে যে অভিযোগ, সেটা বিশ্বাস করি না। কলকাতাতে চলচ্চিত্রশিল্পে ধস নামার পর আবার সেই শিল্প চাঙা হলো কাদের মাধ্যমে? আগের নির্মাতারাই তো ছবি বানালেন। তাঁরা পেয়েছেন অনেক টাকা আর ভালো কারিগরি সুবিধা। এ দুটো বিষয় পাওয়ার পর সেখানকার নির্মাতারা তাঁদের সর্বশক্তি দিয়ে বম্বের আদলে ছবি বানিয়েছেন। তাঁরা সফল হয়েছেন। আমাদের এখানেও সেই টাকার জোগান দিতে হবে। কারিগরি সুবিধা উন্নত করতে হবে। আজকে সারা দুনিয়ার সিনেমার ভাষা বদলে গেছে। আমাদেরও সেদিকে যেতে হবে। না হলে এই শিল্পের ধ্বংস অনিবার্য।’
মনপুরাখ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম বললেন, ‘আমি নিজেও অন্ধকারের মধ্যে আছি। মূল সমস্যা হচ্ছে, পেশাদার প্রযোজক নেই। আমাদের এখানে অনেক গুণী পরিচালক আছেন, তাঁদের চাহিদামতো অর্থ জোগান দিয়ে ছবি বানানোর সুযোগ দিতে হবে। টিভি মাধ্যমের নতুন নির্মাতাদের দিয়ে ছবি বানানোর উদ্যোগ নিতে হবে প্রযোজকদের। টিভি নির্মাতাদের দিয়েই বাণিজ্যিক ছবি বানিয়ে সিনেমা হলে দর্শক ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
শিল্পী-সংকট
শিল্পী-সংকটও এখন প্রকট। ঢাকা থেকে জনপ্রিয় ধারার যে ছবিগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে এখন, তা হয়ে গেছে শাকিব খান-কেন্দ্রিক। শাকিব ছাড়া এখন আর কেউই ছবি বানাতে চান না। কিন্তু একা শাকিবের পক্ষে ঢাকার চলচ্চিত্র কতদূরে টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব এ প্রশ্নও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। নায়িকাদের মধ্যে এখন নির্ভরযোগ্য কাউকে পান না নির্মাতারা। ফলে নতুন শিল্পীদের প্রয়োজন এখন খুব বেশি।
শিল্পী-সংকটের বিষয়টি নির্মাতারা বারবার বলছেন। আনোয়ারা মনে করেন ‘মান্নার মৃত্যু চলচ্চিত্রশিল্পকে অনেকটা ভারসাম্যহীন করে দিয়েছে।’
শিল্পী আছেন অনেক। কিন্তু নির্মাতারা বলছেন, নির্ভরযোগ্য শিল্পী নেই। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মতে, নব্বই দশকে এহতেশাম যেভাবে নতুন মুখ এনে ঝড় তুলেছিলেন, সে রকম আর একটি ঝড় তুলতে হবে। না হলে শিল্পীর সংকট কাটবে না। আর এ জন্য প্রযোজকদের ভূমিকা অনেক বেশি। কিন্তু কেউই এই ঝুঁকি নিতে চায় না।
পরিচালক বাদল খন্দকারের মতে, একদিকে মান্নার মৃত্যু, অন্যদিকে রিয়াজ ও ফেরদৌসের দিক থেকে দর্শকদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
রিয়াজ-ফেরদৌসের হঠাৎ করেই টিভি পর্দায় ঘন ঘন উপস্থিতি এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করা ও নাটকে অভিনয় করার কারণেই তাঁদের বাজার নষ্ট হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।
চলচ্চিত্র শিল্পের দুরবস্থার জন্য শুধু শিল্পী-সংকটই দায়ী এমনটা মানতে নারাজ অভিনয়শিল্পী রাজ্জাক। তিনি বললেন, ‘শিল্পীর সংকট আছে, কিন্তু শিল্পী একদম নেই, এ কথা বলা ঠিক নয়। এখন যে মন্দা চলছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সমন্বিত প্রচেষ্টার দরকার। বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কিছুর ফল দ্রুত পাওয়া যায় না। প্রথমত, ভালো ছবি বানাতে হবে। আমরা যে পণ্যটা বাজারে দিচ্ছি, সেটি কি দর্শক গ্রহণ করছে? দর্শক আগ্রহী হয়ে কি প্রেক্ষাগৃহমুখী হচ্ছে? এ বিষয়গুলো সবার আগে ভাবতে হবে।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ার শাবনূরের। তাঁরও ব্যস্ততা কমে গেছে। চলচ্চিত্রশিল্পের অস্তিত্ব থাকবে কি না, তা নিয়ে তিনি নিজের সংশয় প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘এ শিল্পটা ধ্বংসের কিনারায় চলে গেছে। কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে, তা কেউই আমরা আসলে জানি না।’
বেড়েছে নির্মাণ-ব্যয় ও আধুনিক কারিগরি সুবিধা নেই
চলচ্চিত্র নির্মাণে এখন ব্যয় এক কোটিরও বেশি টাকা। একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে চার বছর আগে এক ক্যান নেগেটিভ পাওয়া যেত মাত্র আট হাজার টাকায়, এখন এর মূল্য প্রায় ১৬ হাজার টাকা। এফডিসিতে এখন সার্ভিস চার্জও বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শওকত জামিল বললেন, ‘নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের প্রযোজকদের জন্য চিন্তার বিষয়। যেখানে প্রযোজকদের আয় বাড়ছে না, সেখানে সর্বত্রই দাম বৃদ্ধির ফলে চলচ্চিত্রশিল্পে বিনিয়োগ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্মাতারা বারবার বলছেন, বাইরের ছবিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য উন্নত কারিগরি সুবিধা পাওয়া দরকার। আমাদের দেশে সেই সুবিধা নেই।’
বিগত চারদলীয় জোট সরকার এফডিসিতে ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ভবন হলেও তা চালু হয়নি। নিম্নমানের মেশিনপত্র কেনা হয়েছে। চালু হওয়ার আগেই নষ্ট হয়েছে টেলিসিনে মেশিন। কাজ করছে না এর অপটিক্যাল ক্যামেরা। বেশ কিছু যন্ত্রাংশ পুরোনো বলে এখনো অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড কমপ্লেক্স।
এফডিসির রক এ রোলের দুটি ডাবিং থিয়েটারের মধ্যে একটি এক বছরেই অচল হয়ে পড়ে আছে। অন্যটি মেরামত করে চালু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এফডিসি কর্তৃপক্ষ। নতুন ক্যামেরা নেই, নেই দক্ষ কারিগর। ল্যাবের মানও ভালো নয়।
চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংসের পথে। ছোটগল্পের মতো এই শিল্পটি কি টিকে থাকতে পারবে? আপাতত আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। ‘রাত্রির তপস্যা সে কি আনিবে না দিন’ পঙিক্তটি মাথায় রেখে আমরা কি আশায় বুক বাঁধতে পারব?
আনন্দ প্রতিবেদক |dainik prothom alo তারিখ: ০৩-০২-২০১১
No comments:
Post a Comment