বার্সেলোনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকলে আপনাকে স্বাগত জানাবে একটি বাক্য—মোর দ্যান এ ক্লাব। সত্যিই যেন বার্সেলোনা শুধু একটি ক্লাব নয়। ফুটবলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বার্সেলোনা কাতালানদের স্বাধীন সত্তার প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই কবেই। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে একমাত্র বার্সাই তাদের জার্সিতে কোনো স্পনসরের নাম-লোগো ব্যবহার করে না। এর বদলে সেখানে আছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের নাম। না, এর বিনিময়ে ইউনিসেফ বার্সাকে কিছু দেয় না। উল্টো বার্সাই প্রতিবছর একটা বিশাল অঙ্কের অর্থ ইউনিসেফকে দেয় বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের ভাগ্যোন্নয়নে সহায়তা করতে।
ইউরোপের ফুটবলও এখন শাসন করছে স্পেনের ক্লাবটি। গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিততে পারেনি। তবে ইংল্যান্ড থেকে ইতালি, জার্মানি থেকে ফ্রান্স—সবাই একবাক্যে বার্সেলোনাকে সেরা হিসেবে মেনে নিয়েছে। বার্সেলোনা এগিয়ে আছে আরেক জায়গায়। ফেসবুকের ভক্ত-সংখ্যায়। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ ভক্ত যোগ দিয়েছে বার্সার অফিসিয়াল ফ্যান পেজে। হু হু করে বাড়ছে এই সংখ্যা। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১ লাখ ৮৬ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী যোগ দিচ্ছে এই গ্রুপে। ওয়েবসাইট।
শুধু ফেসবুকে নয়, এমনিতেও বার্সেলোনার সমর্থকসংখ্যা বিশ্বের যেকোনো ক্লাবের চেয়ে বেশি। ক্রীড়া বিপণন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্পোর্ট+মার্কট-এর গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে বার্সেলোনার সমর্থকসংখ্যা ৫ কোটি ৭৮ লাখ। সংখ্যাটি এই তালিকার দুইয়ে থাকা ক্লাবের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
দুইয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সমর্থকসংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ। এরপর আছে যথাক্রমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৩ কোটি ৬ লাখ), চেলসি (২ কোটি ১৪ লাখ), বায়ার্ন মিউনিখ (২ কোটি ৭ লাখ), আর্সেনাল (২ কোটি ৩ লাখ), এসি মিলান (১ কোটি ৮৪ লাখ), ইন্টার (১ কোটি ৭৫ লাখ), লিভারপুল (১ কোটি ৬৪ লাখ), জুভেন্টাস (১ কোটি ৩১ লাখ)।
No comments:
Post a Comment