CRICKET LIVE STREAMING

Monday, August 1, 2011



ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এ প্রবাদ বাক্যটির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ হাঁস খামারি হাবিবুর রহমান। নিজের ফার্ম করার মত যথেষ্ট জায়গা-জমি, অর্থ-সম্পদ না থাকলেও তার মনে সাধ ছিল বড় ধরনের হাঁসের খামার করবেন। অবশেষে তার আশা পূর্ণ হয়েছে। কোন জায়গা-জমি ছাড়াই তিনি প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যের ২ হাজার হাঁস লালন-পালন করে বিশাল খামার মালিক বনেছেন। তবে তার খামার স্থায়ী নয় ভ্রাম্যমাণ।
সিলেট সদরের দক্ষিণ সুরমার পাঠান পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান। হাবিবুর সিলেট থেকে উত্তরবঙ্গে এসেছেন হাঁসের ভ্রাম্যমাণ খামার নিয়ে। এই হাঁস খামার থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দশ সদস্যের সংসার চালান। এছাড়াও রয়েছে তার আটজন কর্মচারী। সব মিলে প্রতি মাসে হাঁসের খাবার ও কর্মচারীর খরচ বাদ দিয়ে ৪০ হাজার টাকা রোজগার করছেন হাবিবুর।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর চকনদী বিলের ধারের মানুষ কদিন আগে হঠাৎ দেখেন, একটি ট্রাক এসে ২ হাজার চায়না জিনডিং জাতের হাঁস ফাঁকা জায়গায় নামাচ্ছে। কৌতুহলী মানুষ এগিয়ে যায়। জানতে পারে ভ্রাম্যমাণ হাঁস খামারের কথা। সেই সূত্র ধরেই হাবিবুরের সঙ্গে কথা হয় চকনদী বিলের ধারে। তিনি ৮জন সঙ্গীসহ উত্তরবঙ্গে এসেছেন ভ্রাম্যমাণ খামার নিয়ে। প্রথমে উত্তরের জেলা দিনাজপুর যান। সেখান থেকে এসেছেন পলাশবাড়ী সংলগ্ন চকনদী গ্রামে। ফাঁকা মাঠে ঝুপড়ি ছোট ঘর তুলেছেন। যাযাবরের ন্যায় হাঁসগুলিকে প্রকৃতির ফ্রি খাবার খাওয়াচ্ছেন। প্রতিদিন ২ হাজার হাঁসে ৮০০ থেকে ৯০০ ডিম পাচ্ছেন। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। হাঁসগুলোর জন্য বাইরে থেকে বাড়তি খাবার কিনতে হচ্ছে না। নেই বাসাভাড়ার ঝামেলা। শুধু ৮জন কর্মচারীর বেতন ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই বললেই চলে। আজ এখানে কাল ওখানে করেই চলছে তার খামার। প্রকৃতি থেকে পাওয়া মাছ, শামুক, ঝিনুক, ঘাস ফরিং, পোকা-মাকড় খেয়ে সুস্থ্য-সবল আছে তার হাঁসগুলো।
হাবিবুর রহমান জানান, হাঁসের শরীরে হাত দিয়ে তিনি নির্দিধায় বলতে পারে কোন হাঁস ডিম পাড়বে। হাবিবুর তার বাড়িতে মাত্র ২টি হাঁস দিয়ে শুরু করেছিলেন হাঁসের খামার। এখন তিনি ২ হাজার হাঁসের মালিক। আর খামার থেকে উপার্জীত অর্থ দিয়ে ৮ বছরে নিজ এলাকায় প্রায় ৬বিঘা আবাদি জমি কিনেছেন।
স্বপ্ন আছে এ খামারকে আরো বড় করবেন। করবেন দেশের বেকার যুবকদের উৎসাহীত। এদিকে এ এলাকায় এই প্রথম ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামারটি একনজর দেখতে পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর ও পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক হাজার হাজার লোক প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

No comments:

Post a Comment

kazi-music